নিয়োগ বাণিজ্য : তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইবিতে দুদক প্রতিনিধি

নিয়োগ বাণিজ্য : তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইবিতে দুদক প্রতিনিধি

নিয়োগ বাণিজ্য : তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইবিতে দুদক প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠানটির উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মাজেদ রবিবার (৭ নভেম্বর) ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় তিনি সব পক্ষের সাথে সাক্ষাত করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদক থেকে একজন প্রতিনিধি এসেছেন। তিনি আমাদের কাছে যেসকল তথ্য ও সহযোগিতা চেয়েছেন আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

নিয়োগ বাণিজ্যে অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষক হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমীন ও ইলেক্টিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহিম।

এর আগে অভিযোগ তদন্তে বক্তব্য প্রদানের জন্য অভিযুক্ত তিন শিক্ষকসহ নিয়োগপ্রার্থী আরিফ হাসানকে একাধিকবার দুদকের কার্যালয়ে তলব করা হয়। এ ছাড়াও এ সংক্রান্ত যাবতীয় রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দেয় দুদক। সে অনুযায়ী রেকর্ডপত্র দুদকে প্রেরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ৬৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয় ইবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নিয়োগে ড. রুহুল আমিন ও এস এম আব্দুর রহিমের সাথে এক চাকরি প্রার্থীর ১৮ লাখ টাকা দেন দরবারের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। অডিওতে নিয়োগ বানিজ্যের পেছনে একটি সিন্ডিকেট কাজ করেছে বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। এ ছাড়া উঠে আসে সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুববের নামও। এ সময় তাঁকে নিয়োগ বাণিজ্যের মূল হোতা বলে দাবি করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে তারা বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন।

এ ঘটনায় দুই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িক বহিষ্কার করলেও পরে সিন্ডিকেটে তারা  ক্ষমা পেয়ে যান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করলেও  এখনো কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।