কার্বন নির্গমন রোধে সম্মত চীন-যুক্তরাষ্ট্র

কার্বন নির্গমন রোধে সম্মত চীন-যুক্তরাষ্ট্র

সংগৃহীত

মিথেন গ্যাস নির্গমন ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা থেকে সরে এসে ক্লিন এনার্জিতে রূপান্তর এবং কার্বন নির্গমন রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে যৌথ পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

পাশাপাশি আগামী দশকে জলবায়ু সহযোগিতা বাড়ানোরও আশ্বাস দিয়েছে দুই দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান কপ-২৬ সম্মেলনে এ ঘোষণা আসে।

জাতিসংঘের আয়োজনে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলছে জলবায়ু সম্মেলন কপ টুয়েন্টি সিক্স। সম্মেলন শেষ হবে আগামী শুক্রবার। সময় ফুরিয়ে আসছে দ্রুত, হাতে আছে আর মাত্র একদিন। প্রতিদিনের মতো এদিনও বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন বিশ্বনেতাদের প্রতিনিধিরা।

তবে বুধবার এলো অনেকটা অপ্রত্যাশিত এক ঘোষণা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যৌথ এক ঘোষণায় জানায়, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে তারা।

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জন কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে মতপার্থক্যের কোনো অভাব না থাকলেও জলবায়ুর সংকট নিরসন বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করাই এখন একমাত্র উপায়।
চীনের শীর্ষ জলবায়ু আলোচক শি জেনহুয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, কার্বন নির্গমন কমাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে চীন।

২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ব্যাপক নির্গমন হ্রাসের মাধ্যমে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে উষ্ণতা বৃদ্ধি থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্ব নেতারা।

যদিও আগের সেই চুক্তিতে সই করতে অসম্মতি জানিয়েছিল চীন। এর পরিবর্তে জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণের কথা বলেছিল দেশটি। তবে এবারের ঘোষণার পর আশার আলো দেখছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।