ইবিতে সিনিয়র শিক্ষার্থী সিটে থাকতেই দখল নিতে মরিয়া ছাত্রলীগ!

ইবিতে সিনিয়র শিক্ষার্থী সিটে থাকতেই দখল নিতে মরিয়া ছাত্রলীগ!

ইবিতে সিনিয়র শিক্ষার্থী সিটে থাকতেই দখল নিতে মরিয়া ছাত্রলীগ!

ইবি প্রতিনিধি :করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবাসিক হলগুলো খোলার পর থেকেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সিট দখলের রাজনীতি শুরু করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৈধভাবে সিটে থাকা সিনিয়র শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষ না হতেই তাদের সিটগুলো দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। এ ক্ষেত্রে আগেভাগেই কক্ষে আসবাবপত্র রেখে যাচ্ছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। 

সোমবার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মাস্টার্সের এক আবাসিক ছাত্রের বৈধ সিট দখলে নিতে কক্ষে মালামাল রেখে গেছে  বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, হলটির ৩৩১ নম্বর কক্ষে থাকেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি রায়হান বাদশা রিপন। সোমবার তার সিট দখলে নিতে কক্ষে যায় ছাত্রলীগ কর্মী আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র মাহমুদুল হাসান লিটন ও একই বিভাগের নিশাত সরকার বাধন। 

পরে সন্ধ্যায় রিপন ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের কথামতো ওই কক্ষে ট্রাঙ্কসহ বিভিন্ন সামগ্রী রেখে আসে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী। এ সময় ওই কক্ষের অন্য ছাত্ররা সিটটিতে থাকা রিপন এখনো ক্যাম্পাসে আছেন জানালেও তাদের কথায় কান না দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করে লিটন ও বাধন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের কর্মী ও ছাত্রলীগ নেতা ফজলে রাব্বির অনুসারী। 

বিষয়টি জানাজানি হলে পরে হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের ভেতর হট্টোগোল সৃষ্টি হয়। এসময় নিশাত বাঁধন অন্যান্য হল থেকে অন্য ছাত্রলীগ কর্মীদের ডেকে নিয়ে আসে বলে জানা যায়। হলের একজ সিনিয়র শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে থাকতেই তার সিট দখলে নেওয়ার চেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জন্য শিক্ষাজীবনের শেষ প্রান্তে এসে কষ্ট নিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়তে হচ্ছে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের। 

এ বিষয়ে নিশাত বাঁধন বলেন, আমি লিটন ভাইয়ের কাছে সিটের বিষয়টি শুনে, তার সাথে গেছিলাম। আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানিনা।

মাহমুদুল হাসান লিটন বলেন, হলের গণরুমে যারা থাকে তাদেরকে সিঙ্গেল সিটে উঠানোর জন্য এ ধরনের প্রক্রিয়া প্রচলিত আছে। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে একটি পক্ষ ঘোলা করার চেষ্টা করছে। এটা ঠিক না।

এ বিষয়ে হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি রায়হান বাদশা রিপন বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী লিটন সন্ধ্যায় এসে আমার সাথে কথা বলে যায়। আমি কিছুদিনের মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাবো শুনে রাতে এক জুনিয়রকে মালামালসহ পাঠায়। আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম, রুমের অন্য এক জুনিয়র আমাকে ফোন দিয়ে প্রথমে এ কথা জানায়। শিক্ষাজীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়তে হবে এটা ভাবিনি। বিষয়টি ভাবতেই খারাপ লাগছে।