বৈচিত্র্যময় এলাকায় মার্কিন বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

বৈচিত্র্যময় এলাকায় মার্কিন বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

বৈচিত্র্যময় এলাকায় মার্কিন বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৈচিত্র্যময় এলাকায় বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।বৃহস্পতিবার মার্কিন কোম্পানিগুলোর কাছে তিনি এ আহ্বান জানান। কারণ দেখিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রচুর সুযোগ দিচ্ছে।তিনি বলেন, এখানে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থোপার্জনের সুযোগ রয়েছে, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আপনাদের স্বাগত জানাই।

ড. মোমেন রাজধানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচাম বাংলাদেশ) এর ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।এসময় ডক্টর মোমেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘খুব শক্তিশালী’ হিসেবে বর্ণনা করেন যা আগামী দিনে আরও মজবুত হবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে পারে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্র।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক থাকায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। আগামী দিনে আমরা আরো ভালো করব।পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্ক স্থাপনে সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন যেখানে মার্কিন কোম্পানিগুলি বিনিয়োগ করতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা খুব দ্রুত শিখতে পারেন এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও এখানে শক্তি খরচ তুলনামূলকভাবে কম। বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং অর্থ উপার্জনের সমস্ত উপাদান রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সুবিধা নিতে পারে।

ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অত্যন্ত ব্যবসাবান্ধব সরকার। আমরা বিনিয়োগ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যা বিনিয়োগকারীদের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সমস্যা একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য দুই দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১.১ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাদের মোকাবেলায় মার্কিন সরকারের সমর্থনের জন্য তাদের প্রশংসা করে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বড় কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নিরন্তর সাহায্য করছে।ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ সোর্স করতে আমাদের একটি কঠিন সময় পার করতে হয়েছিল। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞ।

সূত্র : ইউএনবি