স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে লঞ্চের কেবিন ভাড়া, তরুণীর লাশ উদ্ধার

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে লঞ্চের কেবিন ভাড়া, তরুণীর লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের যাত্রীবাহী বিলাসবহুল এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চ থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে লঞ্চটির নিচতলায় পেছনের দিকে স্টাফ (গ্রিজার/লস্কর) কেবিন থে‌কে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, নিহত তরুণীর শারমিন আক্তার। তিনি ঢাকা পলিটেকনিকসংলগ্ন কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম এনায়েত হোসেন ফকির।

কুয়াকাটা-২ লঞ্চের স্টাফ মো: সোহাগ বলেন, ১৮০০ টাকায় কেবিনটি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া নেয়া হয়। সকালে কেবিনটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়া যায়। সন্দেহ হলে তালা খুলে কেবিনের ভেতর তরুণীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হয়।

রাত ৩টার দিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সাথে থাকা পুরুষ সঙ্গী পালিয়ে গেছে বলে ধারণা লস্করের।

লস্কর সোহাগ আরো বলেন, আমি ভাড়া পাইছি, ভাড়া দিছি। কার মনে কী তা তো জানি না।

এদিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করলে আসল রহস্য বের হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন।

তিনি বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না সেটি নিশ্চিত জানা নেই। তবে আশা করছি, দ্রুত আসামিকে গ্রেফতারে সক্ষম হবো। নিহত তরুণীর পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, ফিঙ্গার প্রিন্টে নিহত তরুণীর নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য মেলেনি।

নৌ-পু‌লিশ বরিশাল অঞ্চলের সহকা‌রী পু‌লিশ সুপার হা‌বিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা তরুণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই তরুণের সন্ধান করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি জানান, লঞ্চ টার্মিনাল ও লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।