পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিদেশী অস্ত্রসহ দু’জন আটক, লাশ নিয়ে মিছিল

পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিদেশী অস্ত্রসহ দু’জন আটক, লাশ নিয়ে মিছিল

পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিদেশী অস্ত্রসহ দু’জন আটক, লাশ নিয়ে মিছিল

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ নিহত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলীর মৃতদেহ বিকেলে ভাঁড়ারায় পৌঁছুলে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারণা হয়। পরিবারের সদস্যরাসহ সমর্থকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

দু’স্বতন্ত্র প্রার্থী নিহত ইয়াছিন আলী ও সুলতান মাহমুদের সমর্থকরা লাশসহ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা নৌকা প্রার্থী আবু সাঈদের কয়েকজন সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালায়। পুলিশের উপস্থিতির কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এর আগে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদি চারা বটতলায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইয়াছিন গুরুতরভাবে আহত হন। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে নাটোরে ইয়াছিন মারা যান।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুপুরে দু’জনকে বিদেশী অস্ত্রসহ পুলিশ আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে থানায় মামলা হয়েছে বলে ওসি আমিনুল ইসলাম রাতে জানান। 

মাত্র দশ বছর বয়সী এক সন্তানের জনক নিহত ইয়াছিন আলী সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই। ইয়াছিন কিছুদিন আগে সিংগাপুর থেকে দেশে আসেন। 

উল্লেখ্য, ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু সাঈদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদ খান এবং অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলীর সমর্থকদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আইনশৃঙলা বাহিনীও সজাগ ছিল। এর মধ্যেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এলাকায় উত্তেজনাভাব বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।

রাত সাড়ে ১০টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত থানায় এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি বলে পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান।