পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় কলেজছাত্র হত্যার ঘটনায় দু’টি মামলা, আটক ৫

পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় কলেজছাত্র হত্যার ঘটনায় দু’টি মামলা, আটক ৫

পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় কলেজছাত্র হত্যার ঘটনায় দু’টি মামলা, আটক ৫

পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিযয়নে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে।সোমবার রাতে নিহত নাছিমের পিতা নায়েব আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে এ দু’টি মামলা করেন।এ দুই মামলায় সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রচার সম্পাদক রবিউল হক টুটুলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

আটক আরেকজন হলেন সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ। তবে অপর একজনের নাম পাওয়া যায়নি।সোমবার রাত ৮টার দিকে তারাবাড়িয়া বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এজাহারবূক্ত একজন এবং অজ্ঞাতনামা একজনকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এদিকে দুই দিন আগে নির্বাচনী সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর মপ্র্যুর ঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।এর দুই দিন পর সোমবার সন্ধ্যায় পাবনা সদর উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় আরও একজন নিহত হয়।  এতে  ভোটারসহ এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত কলেজ ছাত্র নাছিমের পিতা নায়েব আলী বাদী হয়ে তিন-চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।মামলার আবেদনে বলা হয়, ‘তার ছেলে ওষুধ কিনতে বাজারে গিয়েছিল। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী সংঘর্ষের সময় অজ্ঞাত তিন-চারজন ছুরিকাঘাত করে নাছিমকে হত্যা করে।

এছাড়া সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান খান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছেন। তিনি নাম ও অজ্ঞাত অন্তত ৫০ জনকে অভিযুক্ত করেছেন।এদিকে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা। সোমবার রাত ১০টার দিকে তারাবাড়িয়া এলাকায় স্বজন ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।

ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে পুলিশ দু’টি মামলা গ্রহণ করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী রবিউল আলম টুটুল ও আনারস ( নৌকার বিদ্রোহী) পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ সময় নাছিম কৌতূহলবশত ঘটনার ছবি মুঠোফোনে ধারণ করছিলেন।এ সময় কয়েকজন যুবক নাছিমকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাছিমকে মৃত ঘোষণা করেন।