চাঁদার টাকা না পেয়ে কক্সবাজারে গণধর্ষণ

চাঁদার টাকা না পেয়ে কক্সবাজারে গণধর্ষণ

চাঁদার টাকা না পেয়ে কক্সবাজারে গণধর্ষণ

কক্সবাজারের চাঞ্চল্যকর নারী পর্যটক গণধর্ষণের মূলহোতা আশিকুল ইসলাম রোববার রাতে গ্রেফতার হয়েছে। এর আগে আশিকের সহযোগী ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর র‌্যাবের কাছে ওই নারীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের কারণ জানান মামলার প্রধান আসামি আশিক।

৮ মাসের শিশু সন্তানের চিকিৎসার অর্থ জোগাতে কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানসহ গিয়েছিলেন গণধর্ষণের শিকার ওই নারী। দেশী-বিদেশী ট্যুরিস্টদের কাছ থেকে অর্থ জোগাড়ের বিষয়টি জানতে পেরে ওই নারীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন কক্সবাজার বিচের চাঁদাবাজ-দুর্বৃত্ত আশিক ও তার সহযোগী চক্র।

কক্সবাজার গণধর্ষণ ঘটনার মূলহোতা ও প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া বক্তব্যের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, টাকা না পাওয়ার কারণে সুগন্ধা বিচ থেকে জিম্মি করে সিএনজিতে করে ওই নারীকে ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নেয়া হয়। সেখান থেকে নেয়া জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে। সেখানে মূলহোতা আশিকসহ চক্রের সদস্যরা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ওই নারী চক্রটির পূর্ব-পরিচিত ছিলেন না। ঘটনার একদিন আগে বিচে তাদের পরিচয় হয়। সেসময় ওই নারী শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য দেশী-বিদেশী ট্যুরিস্টদের কাছে অর্থ সহযোগিতা চাইছিলেন।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারে গণধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশসহ ছায়া তদন্ত করছিল র‌্যাব।

এর আগে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামী গণমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি করেছিলেন, তারা গত বুধবার সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার গিয়েছিলেন।

জবানবন্দিতে ওই নারী জানান, স্বামী-সন্তান নিয়ে বুধবার সকালে তারা কক্সবাজার পৌঁছান। এরপর শহরের হলিডে মোড়ের সি ল্যান্ড হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। বিকেলে সৈকতে গেলে সাড়ে ৫টার দিকে তার স্বামীর সাথে এক যুবকের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছু পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। তাকেও একটি সিএনজিতে উঠিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

অভিযোগে ওই নারী আরো জানান, প্রথমে তাকে শহরের একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তিনজন ধর্ষণ করেন। তারপর নেয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে দ্বিতীয় দফায় একজন তাকে ধর্ষণ করেন।