হাঁপানি কেন হয়, লক্ষণ

হাঁপানি কেন হয়, লক্ষণ

প্রতীকী ছবি

শীতকাল এলেই অনেকের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। হঠাৎ শর্দি কাশি থেকেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আবার যারা হাঁপানির রোগী তাদের এই সময়টা খুব কষ্টে কাটে। সঠিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে হাঁপানি থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।

হাঁপানির লক্ষণ ও এর কারণ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ যার লক্ষণ কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ বোধ হওয়া এবং সাঁ সাঁ শব্দে নিঃশ্বাস ফেলা। কিছু ক্ষেত্রে কাশি ব্যতীত অন্য লক্ষণগুলো থাকে না বিশেষ করে কাফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা/হাঁপানি থাকলে।

হাঁপানির কারণ এখনও পরিপূর্ণ শনাক্ত করা যায়নি। বংশগত কারণ এবং পরিবেশের কারণে হাঁপানি ক্রমশ বাড়ছে। ঘরের জমে থাকা ধুলো, বিছানার পোকা, কার্পেট, পুরনো আসবাব, দূষণ, অ্যালার্জি, তামাকের ধোঁয়া ও রাসায়নিক উত্তেজক পদার্থ এগুলোকে হাঁপানি রোগের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়। সমাজে একটি প্রচলিত ধারনা রয়েছে যে, হাঁপানি সংক্রামক ও ছোঁয়াচে। প্রকৃতপক্ষে এটি ছোঁয়াচে রোগ নয়।

ভাইরাসের সংক্রমণ, ঠাণ্ডা আবহাওয়া, প্রচণ্ড রাগ বা ভয়, মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম, কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ (অ্যাসপিরিন, পোপ্রানলল, ডাইক্লোফেনাক ও এসিক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধ) হাঁপানির সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

হাঁপানি বেড়ে যাওয়ার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে নগরায়ণ। চিকিৎসা সংক্রান্ত ইতিহাস এবং পিএনটির (পালমোনারি ফাংশন টেস্ট)/স্পাইরোমেট্রির সাহায্যে হাঁপানি নির্ণয় করা সম্ভব।

হাঁপানির পরিপূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়, কিন্তু নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সে সব কারণে হাঁপানি বেড়ে যায়, সেই সব বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে। দৈনন্দিন হালকা ব্যায়াম (জগিং) করলে হাঁপানির উপসর্গগুলো কিছুটা কমে।