মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্র থাকার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্র  থাকার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

থমাস ডি ন্যানো

মিয়ানমারের হাতে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সাথে দেশটি রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধ বিষয়ক বৈশ্বিক কনভেনশন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এএফপির বরাত দিয়ে জাপান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) বার্ষিক সভায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি থমাস ডি ন্যানো এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের ‘ঐতিহাসিক’ একটি স্থাপনায় এখনও অস্ত্র থাকতে পারে। ওই স্থাপনা থেকে প্রস্তুত করা হতো বিষাক্ত মাস্টার্ড গ্যাস। এমন রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদের বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৫ সালে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি, মজুদ ও ব্যবহার বন্ধ বিষয়ক ‘রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে’ স্বাক্ষর মিয়ানমার। থমাস ডি ন্যানো বলেছেন, ওয়াশিংটনের হাতে তথ্য রয়েছে যে, ১৯৮০র দশকে মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্র বিষয়ক কর্মসুচি ছিল। এর মধ্যে ছিল সালফার সমৃদ্ধ মাস্টার্ড গ্যাস তৈরি বিষয়ক কর্মসুচি এবং রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন বিষয়ক স্থাপনা।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সার্টিফাই করে যে, সিডব্লিউসির বিষয়ে অসম্মতি রয়েছে মিয়ানমারের। কারণ, তারা তাদের অতীতের রাসায়নিক অস্ত্র বিষয়ক কর্মসূচি ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং রাসায়নিক অস্ত্র বিষয়ক স্থাপনা ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে এমন অস্ত্র মজুত করা এবং ব্যবহার করার অভিযোগ আছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে একবার নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়েছিল দেশটির বিরুদ্ধে।