কুষ্টিয়ায় নৌকার বিপর্যয়, ১১ ইউনিয়নে ১০টিতে পরাজয়

কুষ্টিয়ায় নৌকার বিপর্যয়, ১১ ইউনিয়নে ১০টিতে পরাজয়

ফাইল ছবি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের সংসদীয় এলাকা কুষ্টিয়া সদরে ইউপির ভোটে ডুবেছে নৌকা। সদরের ১১ ইউনিয়নে বুধবারের ভোটে একটিতে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী। তবে আটটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এই বিপর্যয়ের জন্য স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ের অভাবকে দুষছে জেলা আওয়ামী লীগ।

পঞ্চম ধাপের ভোটে সদর উপজেলার কেন্দ্রগুলোয় কুয়াশা উপেক্ষা করেই সকাল থেকে জড়ো হন ভোটাররা। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জানান, বিপুল ভোটার সমাগম হয়েছে। আইলচারা ইউনিয়নের আমানতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, ৮৫ শতাংশেরও বেশি ভোট হয়েছে। ভোটের ফলে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই জনপ্রিয় বেশি।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রাপ্ত ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একটিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ১০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আটজন, একজন জাসদ সমর্থিত ও অন্যজন বিএনপি সমর্থিত।’ নৌকার জয়ী প্রার্থী হলেন গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের লাল্টু রহমান।

বিদ্রোহী যেসব প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন তারা হলেন উজানগ্রাম ইউনিয়নের সানোয়ার হোসেন মোল্লা, মনোহরদিয়া ইউনিয়নের জহুরুল ইসলাম জহুর, হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের মেহেদী হাসান সম্রাট, আইলচারা ইউনিয়নের সিদ্দিকুর রহমান, ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মেহেদী হাসান, আলামপুর ইউনিয়নের আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস, বটতৈল ইউনিয়নের মিজানুর রহমান মিন্টু ফকির ও আব্দালপুর ইউনিয়নের আলী হায়দার স্বপন। জয়ী অন্য প্রার্থীরা হলেন হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের জাসদ সমর্থিত এম মোস্তাক হোসেন মাসুদ ও পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত রোকনুজ্জামান কানু।

আব্দালপুর ইউনিয়নে পরাজিত নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আরব আলী বলেন, ‘সামাজিক দল শক্তিশালী হওয়ায় এমন ফল হয়েছে। এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন দুভাগে বিভক্ত। এখানে জাতীয় রাজনীতির প্রভাব তেমনটা কাজে আসেনি।’

নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয়টি বিপর্যয় হিসেবে দেখছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী। তিনি বলেন, ‘সঠিক সমন্বয় করে কাজ করলে এমন বিপর্যয় হতো না। আওয়ামী লীগ নেতাদের যার যে দায়িত্ব, তা ঠিকমতো পালন করেননি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সংসদীয় নির্বাচনি এলাকা কুষ্টিয়া সদরে আওয়ামী লীগ এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী, কিন্তু সমন্বয়ের অভাবেই এমন ফল হয়েছে।