ফেরি সংকটে কাজিরহাট-আরিচা ঘাটে তীব্র যানজট

ফেরি সংকটে কাজিরহাট-আরিচা ঘাটে তীব্র যানজট

ফাইল ছবি

পাবনা প্রতিনিধি: ফেরি সংকটে আরিচা-কাজিরহাট রুটে চলাচল চরম ব্যাহত, তিনশতাধিক ট্রাক পারের অপেক্ষায় কাজিরহাট ঘাটে। ফেরি স্বল্পতার কারণে এ নৌরুটে যাতায়াতের ভোগান্তি থেকেই যাচ্ছে; যার ফলে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলায় যাতায়াতকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শনিবারও তিনশতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

টার্মিনাল এলাকায় তাদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট সুবিধা না থাকায় চরমভাবে কষ্টভোগ করছেন ঘাটে অবস্থানরতরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন ট্রাক, বাস, কার, মাইক্রোবাসে দিনরাত থাকতে হচ্ছে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা  লোকগুলোকে।

ক্ষতিক্ষস্ত ব্যক্তিরা জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ট্রাকশ্রমিক, নারী ও শিশুরা। ভাসমান দোকান থেকে অনিরাপদ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ পরিবহন করপোরেশনের কাজিরহাট অফিসের ব্যবস্থাপক মোঃ মাহবুবুর রহমান শনিবার বিকেলে এ প্রতিনিধিকে জানান, পাঁচটির মধ্যে তিনটি ফেরি চলাচলের বাইরে রয়েছে। ২ জানুয়ারি থেকে  মেরামতের জন্য ফেরি কপোতি আরিচা ঘাটে নোঙর করা হয়ৈছে। এখন ক্যামিলী ও কদম নামে দু’টি ফেরি চলাচল করছে। তাও আবার মাঝে মধ্যে একটি ফেরি অকেজো হয়ে পড়ে।

তিনি জানান, নদীপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ২৮ ডিসেম্বর রো-রো ফেরি শাহ মখদুমকে পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া ফেরি সার্ভিসে পাঠানো হয় এবং ২৪ ডিসেম্বর কে-টাইপ ফেরি ফরিদপুরীকে মাওয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে পাঠানো হয়।

ট্রাক চালক মোমিনুল ইসলাম যিনি নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার জন্য যশোর থেকে ঘাটে এসে তিনদিন অবস্থান করছেন। গতানুগতিক একই সমস্যা অর্থাৎ টয়লেট, গোসল-খাওয়া-থাকার সমস্যায় পড়েছেন। তিনি জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর কালিশংকরপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে দুপুর ২টার  দিকে কাজিরহাট ঘাটে পৌঁছান। তারপর থেকে পারের অপেক্ষায় অপেক্ষামান।

মাইক্রোবাস চালক মোঃ মহসিন মিয়া জানান, সকাল ১০টার দিকে তিনি খাজিরহাটে  পৌঁছান। দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনি নদী পার হতে পারেননি।

আলমাস আলী নামে আরেক এক ট্রাক চালক জানান, বুধবার রাতে তিনি কাজিরহাট ঘাটে পৌঁছান। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরির টিকিট কাটতে পারেননি তিনি।

হাসেম ও আব্দুল মিয়াসহ আরো অনেক ট্রাক চালক জানান, নদী পার হতে তাদের ফেরি ঘাটে পাঁট-ছয়দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

শনিবার বিকেল ৫টার দিকে কাজিরহাটে প্রায় ৩০০টি পণ্য বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনকে কাজিরহাটে সারিবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসি কাজিরহাট ব্যবস্থাপক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন,‘ডেপুটেড ফেরিগুলো সার্ভিসে যোগ দিলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।’