গাজীপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

গাজীপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রতিকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে টঙ্গীর আলম মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত ওই গৃহবধূর নাম সুমাইয়া মেহেরীন পুষ্পিতা (২১)। সে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার পাগলা শ্যামনগর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে।

ঘটনার পর নিহতের স্বামী নিয়াজ মোরর্শেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। চলতি মাসের ১২ মে নিয়াজ মোরশেদ ও সুমাইয়ার উচ্চতর শিক্ষার জন্য আমেরিকাতে যাবার কথা ছিলো।পরে তাঁরা টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। স্বামী নিয়াজ মোরশেদ একটি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চাকরি করেন। গত কয়েক মাস যাবত স্বামী নিয়াজ সুমাইয়াকে তার পরিবারের সাথে কথা বলতে দিতেন না। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা দেখা দিতো।

থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) এম সাফায়েত ওসমান লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে নিয়াজ মোরর্শেদের সাথে বিয়ে হয় সুমাইয়ার।

সুমাইয়ার বোন লিজা আক্তার বলেন, সুমাইয়াকে তার স্বামী আমাদের সাথে দেখা করতে ও ফোনে কথা বলতে দিতো না। চলতি বছরের ১২ মে নিয়াজ মোরশেদ ও সুমাইয়ার উচ্চতর শিক্ষার জন্য আমেরিকাতে যাবার কথা ছিল।

শনিবার বিকালে ফের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হলে ভাড়া বাসার অপর একটি কক্ষে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন সুমাইয়া। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন।  আজ সুমাইয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে থানায় এসেছি। আমরা মামলা করবো। 

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামীকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।