হাইপারটেনশন সমস্যাকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন

হাইপারটেনশন সমস্যাকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন

প্রতীকী ছবি

হাইপারটেনশন কিংবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। উচ্চ রক্তচাপের সম্পর্কিত সবচেয়ে খারাপ বিষয়টি হল যে বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগটি খুব দেরিতে ধরা পড়ে। হয়তো এর লক্ষণগুলো মানুষ সহজে বুঝতে পারেন না কিংবা এই রোগের লক্ষণগুলি সম্পর্কে তারা অবগত নন। অনেক সময় এমনও হয় যে অবস্থা খুব একটা গুরুতর না হওয়া পর্যন্ত রোগী তার অবস্থা সম্পর্কে জানতেই পারেন না।

উচ্চ রক্তচাপের পিছনে যদিও বেশ কয়েকটি কারণ দায়ী। অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা, অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপানের কারণে উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। তা থেকে বাড়ে শ্বাসকষ্ট, কিডনির অসুখ, রক্ত জমাট বাধা, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদরোগের নানা সমস্যা। হাইপারটেশনে আক্রান্ত হলে খুব বেশি ক্লান্তি, প্রচন্ড মাথাব্যথা, জিনিস মনে রাখতে সমস্যা, নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ, শ্বাসকষ্টের মত একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। সময় থাকতেই এই রোগের লক্ষণগুলি চিনুন এবং দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আশ্চর্যের বিষয় হল কম বয়সের ব্যক্তিরাও এখন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটি জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। তবে একটি সুবিধা হল যে জীবনধারা পরিবর্তন করে আপনি এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

প্রতিদিন আপনার রক্তচাপের মাত্রা পরীক্ষা করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার খান। মিষ্টিজাতীয়, অ্যালকোহল যুক্ত, ডিপ ফ্রাই খাবার এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শরীরচর্চা করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। খাদ্যতালিকা থেকেও বাদ দিন এমন খাবার যা ক্ষতি করে আপনার স্বাস্থ্যের।

যখন হাইপারটেনশন রোগীদের প্রসঙ্গ আসে তখন লবণ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, আচার, চিনি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেড়ে যেতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলা ভাল। কারণ উচ্চ সোডিয়াম যুক্ত উপাদান উচ্চ রক্তচাপরোগীদের মধ্যে আরও রক্তচাপ সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে এবং এর ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।