পাবনায় জেলা পুলিশের সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা শুরু

পাবনায় জেলা পুলিশের সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা শুরু

পাবনায় জেলা পুলিশের সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা শুরু

‘‘অপরাধ নয় আঁধারের বৃত্তে, আলো আসুক আলোকচিত্রে’’শ্লোগানে কিশোর ও তরুণদের অপরাধ জগৎ থেকে সৃজনশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করতে পাবনায় শুরু হয়েছে সাতদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা।

 পাবনা জেলা পুলিশের আয়োজনে ‘‘প্রাণের পাবনা” শিরোনামে শুক্রবার রাতে পাবনা পুলিশ লাইনস্ ক্যাফেটেরিয়ায় এই অয়োজনের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, সহকারি পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন, প্রতিযোগিতার বিচারক চিত্র সাংবাদিক হাসান মাহমুদ, আলোকচিত্রী এহসান আলী বিশ^াসসহ জেলা পুলিশের কর্মকতা ও প্রতিযোগিরা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরনা জানান, জেলা পুলিশ পাবনার ফেসবুক পেজে এই আয়োজনের জন্য ছবি আহবান করা হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে মোট সাড়ে পাঁচশ’ ছবির মধ্যে বাছাইকৃত ৫০টি ছবি স্থান পায় এই প্রদর্শনীতে। এর মধ্যে ১২টি বাছাইকৃত ছবি দিয়ে প্রস্তুত করা হয় জেলা পুলিশের ২০২২ সালের ক্যালেন্ডার।

মোট চারটি বিভাগে পুরস্কৃত করা হয় মোট ১৬ জন প্রতিযোগিকে। ক গ্রুপ ১৮ বছরের নিচে ক্যামেরার ছবি, মোবাইলের ছবি এবং খ গ্রুপ ১৮ বছরের উপরে ক্যামেরার ছবি ও মোবাইলের ছবি বিভাগে ১ম পুরস্কার পান যথাক্রমে তানভীর আহাম্মেদ, আকিব হাসান রাতুল, আশরাফুল ইসলাম শিমুল, জুয়েল আসিফ।

২য় পুরস্কার পান নাজমুল ইসলাম, ওয়ালিদ খান তালহা, আবেদ শরীফ, বিল্লাল হোসাইন। ৩য় পুরস্কার পান রুবায়েত হাসান নয়ন, কেএইচ ফারহানুল হাবিব, আরিফুল ইসলাম অপুর্ব, আব্দুল্লাহ্ আল শাফী। এছাড়াও বিশেষ পুরস্কার পান শাহীন রহমান, ফারুক আহম্মেদ, ইমরান পারভেজ ও জিয়াউল হক রিপন। এছাড়াও প্রতিযোগী সকলকেই দেয়া হয় ক্রেস্ট ও সনদপত্র। আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলবে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আলোকচিত্র প্রদর্শনীর প্রথমদিনেই দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রদর্শণীতে আসা দেওয়ান মাহবুব, আরিফ আহমেদসহ অনেকেই বলেন, জেলা পুলিশ অপরাধ আর অপরাধী নিয়ে কাজ করার বাইরে গিয়ে এমন একটি সৃজনশীল আয়োজন করেছে এটি নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এর মাধ্যমে কিশোর ও তরুণরা ডিজিটাল সময়ের সদ্ব্যবহার করে সৃষ্টিশীল কাজে এগিয়ে আসবে বলে মনে করেন তারা।

পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, পাবনায় যোগদানের পর তিনি দেখেছেন কিশোর ও তরুণরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। অভিভাবকরা জানেন না তাদের সন্তান কোথায় যায়, কি করে। বিষয়টি তাকে ভাবিয়ে তোলে, কষ্ট দেয়। কিভাবে বিপথ থেকে সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল কাজে যুক্ত করা যায়, সেই ভাবনা থেকেই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শণীর আয়োজন।