ইভ্যালির নতুন পরিচালকেরা ৩ মাস ধরে শুধু নিরীক্ষাই করছেন

ইভ্যালির নতুন পরিচালকেরা ৩ মাস ধরে শুধু নিরীক্ষাই করছেন

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে কেলেঙ্কারি যে প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে শুরু, সেই ইভ্যালির দায়িত্ব আদালতের ঠিক করে দেয়া একটি পরিচালনা পর্ষদ নেয়ার তিন মাস পর এসে দেখা যাচ্ছে, তারা এখনো প্রতিষ্ঠানটির দায়-দেনা আর সম্পদের হিসেব নিকেশই শেষ করতে পারেনি।

তিন মাস ধরে ইভ্যালির কেনা-বেচা এবং পণ্য সরবরাহের কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে আয়ের কোনো সংস্থান নেই। কিন্তু ব্যয় যথারীতি রয়েছে।

এসব ব্যয় মেটানোর জন্য রোববার ইভ্যালির জব্দ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।

গত বছরের ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ইভ্যালি বোর্ড গঠন করে দিয়েছিলেন।

তাদের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়, ইভ্যালির বর্তমান আর্থিক অবস্থার পর্যালোচনা করা, দায়-দেনা ও সম্পদের নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতের সামনে উপস্থাপন করা।

সেই সঙ্গে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত ও কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, সেটিও সুপারিশ করবে এই বোর্ড।

গত তিন মাসে এই পরিচালনা বোর্ড নয়টি সভা করেছে। কিন্তু তিন মাস পরেও ইভ্যালির মোট দেনা ও সম্পদের পরিপূর্ণ চিত্র পায়নি পরিচালনা কমিটি, জানাচ্ছেন কমিটির সদস্যরা।

ব্যয় মেটাতে গাড়ি-কম্পিউটার বেচে দেয়ার সিদ্ধান্ত

রোববার সন্ধ্যায় ইভ্যালি পরিচালনা কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেই সভা শেষে ব্যবস্থাপনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আজকেই আমরা হাইকোর্ট থেকে ইভ্যালির দুটি ব্যাংকের হিসাবে থাকা দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা উত্তোলন করার অনুমতি পেয়েছি। তবে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের যে পাওনা রয়েছে, সেই তুলনায় এই টাকা নগণ্য।’

গতকাল হাইকোর্ট সাউথইস্ট ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকে থাকা ইভ্যালির দুটি হিসাব থেকে পরিচালনা কমিটিকে দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা উত্তোলন করার অনুমতি দেয়।

এর বড় একটি অংশ নিরীক্ষকদের ফি, কোম্পানির বর্তমান ৩০ জন কর্মীর বেতন-ভাতা ও অন্যান্য পরিচালনায় খরচ হতে পারে বলে শামসুদ্দিন চৌধুরী ধারণা করেন।

তিনি জানান, ইভ্যালির ২৫টি নানা ধরণের গাড়ির তথ্য পেয়েছেন। তার মধ্যে ১৪টি গাড়ি বর্তমান কমিটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বাকি গাড়িগুলোর খোঁজ মিলছে না।

এর মধ্যে রেঞ্জরোভারের মত উচ্চমূল্যের বিলাসবহুল গাড়িও রয়েছে।

‘এজন্য আমরা একটি মামলা করেছি। পুলিশ এসব গাড়ির খোঁজ করছে। আশা করছি, বাকি গাড়িগুলোও আমরা পেয়ে যাব,’ বলছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী।

বিলাসবহুল গাড়িগুলো বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইভ্যালি পরিচালনা কমিটি।

সেই সঙ্গে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, টেলিভিশনের মতো বেশ কিছু অতিরিক্ত অফিস সরঞ্জামও বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পুরনো গাড়িগুলো ভাড়ায় দিয়ে ইভ্যালির দৈনন্দিন খরচ মেটানোর চিন্তা করছে কমিটি। সেই সঙ্গে পুরনো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেসব ঋণ নিয়েছেন, তাদের দখলে থাকা কোম্পানির সম্পত্তি ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে সবকিছু

তিন মাস পার হলেও এখনো ইভ্যালির দায়-দেনা বা কোম্পানির বর্তমানে কত অর্থ বা সম্পদ কোথায় রয়েছে, তার পুরোপুরি চিত্র পায়নি পরিচালনা বোর্ড। এজন্য একটি বেসরকারি নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলছেন, ‘সবার আগে নিরীক্ষার কাজটি শেষ করতে হবে। এখন সেই কাজটি চলছে। নিরীক্ষা শেষ হলে আমরা বুঝতে পারবো ইভ্যালির আসলে কত টাকা আছে, আর তাদের দায়-দেনা কত, তাদের আর্থিক পরিস্থিতি কী। তখন এই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসবে।’

এই নিরীক্ষার কাজ শেষ করতে বেশ সময় লাগবে বলে তিনি ধারণা করেন।

এর পাশাপাশি ইভ্যালির যেসব সম্পদ বা গোডাউনে পণ্য রয়েছে, সেগুলোর তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

‘গোডাউনে যেসব পণ্য রয়েছে, সেগুলোর তালিকা করতেই একমাস পার হয়ে যাবে,’ বলছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলছেন, ‘গ্রাহক ও মার্চেন্ট যারা পাওনাদার রয়েছেন, তাদের পাওয়া যাতে যতটা সম্ভব শোধ করা যায়, সেজন্যই আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’

কারাগারে থাকা ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন কোথায় কীভাবে অর্থ ব্যয় করেছেন, তার তালিকা দেয়ার জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে বলা হয়েছে।

তাদের হিসাবে কোনো অর্থ থাকলেও তাও নিয়ন্ত্রণে নেয়ার আশা করছে পরিচালনা পর্ষদ।

এসব কার্যক্রম শেষ হওয়ার আগে ইভ্যালির গ্রাহক, মার্চেন্ট বা পাওনাদের অর্থ বা পণ্য ফেরত পাওয়ার আপাতত সম্ভাবনা নেই বলে কর্মকর্তারা ধারণা দিয়েছেন। এসব শেষ হতে কতদিন সময় লাগতে পারে, সেই সম্পর্কে ধারণাও দিতে পারছেন না কর্মকর্তারা।

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পর্ষদের একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ব্যবসা করা নয়, তারা মূলত নিরীক্ষা ও হিসাবনিকাশ করে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক চিত্র দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। সেটা বের করা গেলে বুঝতে পারা যাবে যে, ইভ্যালিকে ব্যবসা হিসাবে আবার চালু করা যাবে নাকি অবসায়ন করে দিতে হবে।

হাইকোর্ট নির্ধারিত ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবির গত ২২ ডিসেম্বর বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা আগে অডিট করে নেই। তারপরে আদালতে যাব যে, আমাদের এত টাকা, এত মালামাল আছে। আমরা কী করব? সেই সময় আমরা অনুমতি চাইব। এর আগে আমাদের কিছু বলারও নেই, আমরা কিছু করতেও পারব না কারো জন্য।’

মামলার কার্যক্রমে ধীরগতি
ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সারাদেশে একাধিক মামলা হয়েছে।

প্রথমে দুর্নীতি দমন কমিশন ইভ্যালির বিষয়ে অর্থ পাচার মামলার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছিল। তবে গত অক্টোবরেই দুদক চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, তফসিলভুক্ত না হওয়ায় অন্য সংস্থা এসব মামলার তদন্ত করবে।

অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘ইভ্যালির বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি না। তাদের মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে স্বউদ্যোগে আমরা একটা অনুসন্ধান করছি। তবে এখনো বাকি কোন মামলা আমাদের কাছে আসেনি।’

‘এখন যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন অথরিটি আছেন, তারা অডিট করছেন। তাদের ফাইন্ডিংসের পর হয়তো কিছু অগ্রগতি হতে পারে, সেজন্য একটু সময় লাগবে,’ তিনি বলছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা তদন্ত করবে না বলে জানালেও এখনো সিআইডি এসব মামলার দায়িত্ব পায়নি।

থানায় দায়ের হওয়া কয়েকটি মামলা সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। সেখানেও নতুন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ইভ্যালি পরিচালনা পর্ষদের পদক্ষেপ বা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ওপরেই এসব মামলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

ইভ্যালির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও ।

ই-কমার্স খাতের কারিগরি কমিটির সমন্বয়ক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘যেহেতু হাইকোর্ট একটা নির্দেশনা দিয়েছে এবং কমিটি গঠন করে দিয়েছেন, সেখান আমার কিছু করতে গেলে তো কনসেন্ট লাগবে। ইভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে যদি কোন নির্দেশনা কখনো আমি পাই, তখন আমি কাজ করতে পারবো।’

এখনো আশায় প্রতারিত গ্রাহকেরা
ঢাকার বাসিন্দা আঁখি আক্তার গত বছরের মে মাসে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কেনার জন্য অগ্রীম মূল্য হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।

‘আমি জানতাম, পণ্যটা পেতে হয়তো তিন বা চার মাস লেগে যাবে। কিন্তু অর্ধেক দামে পাচ্ছি বলে সেটা মেনে নিয়েছিলাম। তারপরেই তো ঝামেলা শুরু হয়ে গেল, ইভ্যালিই বন্ধ হয়ে গেল। এখন টাকাও ফেরত পাব কিনা, সেটাই জানি না,’ বলছিলেন আঁখি আক্তার।

তার মতো ইভ্যালির দুই লাখ গ্রাহক রয়েছে, যাদের অনেকের অর্থ আটকে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কাছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল ই-কমার্স পরিচালনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির হিসাবে, গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে ইভ্যালির দেনা ৫৪৩ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দুই লাখের বেশি গ্রাহক রয়েছে।

ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপস বন্ধ রয়েছে। ফেসবুক পাতাতেও গত বছরের ১৮ অক্টোবরের পর নতুন কোনো আপডেট আসেনি। ফলে প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক ও মার্চেন্ট তাদের পাওনা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মেঘলা হক একটি ফ্রিজ কেনার জন্য ৩৭ হাজার টাকা ইভ্যালিতে জমা দিয়েছেন। এছাড়া গিফট কার্ড, মুদি পণ্য মিলিয়ে আরো ১০ হাজার টাকার পণ্যের জন্য তিনি অর্থ পরিশোধ করেছেন।

মেঘলা হক বলছেন, ‘আগে একবার অর্ডার দিয়ে একটা ওয়াশিং মেশিন পেয়েছি। সেই বিশ্বাস থেকে ফ্রিজসহ আরো কিছু পণ্যের অর্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু এমনভাবে বিপদে পড়বো ভাবি নাই। জুলাইয়ের পরে একটা অর্ডার আছে, সেটার টাকা হয়তো পেলেও পেতে পারি। কিন্তু আগের টাকার কি হবে, তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’

‘ভেবেছিলাম নতুন পরিচালনা কমিটি হয়েছে, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এখনো সেই আশায় আছি,’ বলছেন মেঘলা হক।

ই-কমার্সের টাকা ফেরতের কী হবে?
ইভ্যালি ও অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের পাঁচ শ’ কোটি টাকার আটকে রয়েছে।

ইভ্যালি কেলেঙ্কারির পর ২০২১ সালের পহেলা জুলাই থেকে সব লেনদেন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে করার নিয়ম বেঁধে দেয় সরকার। এর ফলে যারা কোনো পণ্য কিনেছেন, সেই টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে গিয়ে জমা হয়েছে। পণ্য সরবরাহ করার পর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মূল্য পাবে।

সেই পেমেন্ট গেটওয়েগুলোয় গ্রাহকদের প্রায় ২১৪ কোটি টাকা আটকে আছে।

এর বাইরে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ইভ্যালিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকদের পণ্যের জন্য অগ্রিম কত টাকা জমা দেয়া আছে, সে সম্পর্কে এখনো কর্মকর্তাদের পরিষ্কার ধারণা নেই।

ই-কমার্স খাতের কারিগরি কমিটির সমন্বয়ক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, কিউকমের ৫৯ কোটি টাকা হস্তান্তর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ফেরত দেবে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েও কাজ করছি।

কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, যারা নিজেদের নগদ এবং বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা দিয়েছেন, তাদের হিসাবে টাকা দেয়া সহজ হবে। কিন্তু যারা এজেন্টদের হিসাব থেকে টাকা দিয়েছেন, সেখানে আসল গ্রাহক কীভাবে টাকা পাবেন, সেই প্রক্রিয়া বের করার চেষ্টা চলছে।

এর বাইরে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে যে গ্রাহকরা টাকা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে কারা পণ্য পেয়েছেন, আর কারা পণ্য পাননি, সেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের টাকা ফেরতের বিষয়টি নির্ভর করবে আদালতে মামলার নিষ্পত্তি বা ফলাফলের ওপর।

গত ডিসেম্বর মাসে সফিকুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ‘সিআইডি, এসবি, ডিবি, অন্যান্য সংস্থাও মামলাগুলোর তদন্ত করছে। এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী মামলা রয়েছে, সেটা জানতে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি পাঠানো হবে। এরপর যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে মামলা নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের কাছে ফেরত পাঠানো হবে।’

বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আটকে থাকা টাকা ফেরতের জন্য গ্রাহকদের অপেক্ষা করতে হবে মামলার রায় হওয়া পর্যন্ত। এখনো সেই প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থের সিংহভাগই ইভ্যালি ও ধামাকার মতো প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনতে অর্ডারের টাকা, যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে মামলা ও তদন্ত চলছে।

৩০ জুনের আগে ইভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য ক্রয়ের জন্য অর্থ পরিশোধ করেও পণ্য বা অর্থ গ্রাহকরা পাননি। সেই টাকা কোথায় কীভাবে রয়েছে, তার বিস্তারিত এখনো জানা নেই কর্মকর্তাদের।

সূত্র : বিবিসি