পাবনায় শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন, মামলা দায়ের

পাবনায় শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন, মামলা দায়ের

ফাইল ছবি

পাবনা প্রতিনিধি :পাবনায় স্কুল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন কেন্দ্রে হামলার দু’দিন পর মামলা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট  সোসাইটি পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় পাবনা সদর থানায় এই মামলা করেন।

পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত শনিবার পাবনা শহরের বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩টি মাদ্রাসা ও একটি স্কুলের ১ হাজার ৪০ শিক্ষার্থীর করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছিল। হঠাৎ দুপুর ১টার দিকে সিরিয়াল ছাড়া টিকা দেয়ায় জন্য জোড়াজুড়ি করতে থাকে একদল তরুণ। এ নিয়ে সেখানে কর্মরত রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বহিরাগতদের নিয়ে ওই তরুণরা রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের ওপর হামলা করে।

এতে টিকা কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন।

ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে পুনরায় টিকাদান শুরু হয়।

রেড ক্রিসেন্ট পাবনার সহকারী পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় তাদের স্বেচ্ছাসেবী শাহেদ মাসুদ খান প্রান্ত (১৮), মাশরুক হাসান শাওন (১৯), আরমান হোসেন (১৮) এবং আল শাহরিয়ার নিরব (১৮) আহত হন।

পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সোমবার রেড ক্রিসেন্টের সহকারী পরিচালক  দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েক জনকে আসামি করে পাবনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার মোঃ পিয়ারুরের ছেলে ডিএসবি আবির (২২), আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ আবির (২১) এবং গোপালপুর মহল্লার মোঃ হারুনের ছেলে তমাল হোসেনের (২২) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্র্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ঘটনার দিনই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত  জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), জেলা শিক্ষা অফিসার এবং সিভিল সার্জনের একজন প্রতিনিধি রয়েছেন। কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।