মাহিরা রুবির তিনটি কবিতা
মাহিরা রুবি
।। আদর্শলিপি ।।
স্বরে অ পড়ার আগেই দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে আদর্শলিপি।
ষড়যন্ত্রের মত ছৌ নাচে, মলাটে আলো আর সংখ্যার যুক্ত ক্ষরণ।
অভিধানের আড়ালে স্বয়ংবাড়ি, যেখানে বাদামফুল মাতাল তালে আওড়ায়-
ওয়েটিং
ফর
টু
নাইট
রাত শেষ হলেও থামে না পরাগের রাগ।
বাজিগর মানুক আর না মানুক জাদু কোন ফুল নয় শরীর ভর্তি-
ন্যা
প
থ
ল
আর ভাঁজে ভাঁজে ছড়ানো ঝিনুকের রঙ।
।। মিহিতানামা-১।।
শূন্য কোন সংখ্যা নয় জেনেও দূরত্বের সাইরেন বাজায় মিহিতা।
থোকা থোকা ডুরিয়ানের বদলে পিঠভর্তি ধুপবাতি নিয়ে
ঘ্রাণের আড়ালে জ্বলে যায় রোজ।
# নেইলকাটার একজন অভিজ্ঞ কসাই জেনে তার কাছে জমা রাখে স্বর, বিশ আঙুলের কারসাজি আর রাতপোড়া গন্ধ।
# কাঠের আফসোস জানেনা কফিন অথচ পরেক জেনে গেছে লোহার গল্প।
প্রতি উছলবারে জমা হতে থাকে মেঘের তালিক।
# তারপর-
সমস্ত যতিচিহ্ন মুছে দিয়ে
ঘুমিয়ে যায় ক্লান্তিফুল- চুয়ান্ন আস্তিনে।
।। মিহিতানামা-২।।
পালানোর আগে আরও একবার ফিরতে হয় নিজের কাছে, ছুঁয়ে দিলে জানা যায়-
স্বয়ং
এক
কাপালিক ঘড়ি।
এখানে আসা ও যাওয়ার মাঝে তিনটি সরলরেখা, একটি দুঃখ নিয়ে বরাবর হারিয়ে যায়।
ব্রাকেট উঠে গেলে সব সংখ্যাই চলে আর বরফের মতো জমে থাকে রাত।
অন্ধকারে রটে যায়, পৃথিবীতে মানুষ নামে কোন ফুল নেই।
অ
থ
চ
কেউ জানেনা, মিহিতা ঘুমিয়ে গেলে হ্যাঙ্গারে ঝুলে থাকে ভ্রম।