মাইকেল মধুসুদন দত্তের জন্মদিন আজ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত-ছবি: উইকপিডিয়া
যশোর প্রতিনিধি:মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।তার পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন জমিদার।মা ছিলেন জাহ্নবী দেবী। মধুসূদনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় মা জাহ্নবী দেবীর কাছে।
১৩ বছর বয়সে মদুসূদন দত্ত কলকাতা যান এবং স্থানীয় একটি স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনার পর তিনি সে সময়কার হিন্দু কলেজে (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন।তিনি বাংলা, ফরাসি ও সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষালাভ করেন। এর পর তিনি কলকাতার বিশপস কলেজে অধ্যায়ন করেন।এখানে তিনি গ্রিক, ল্যাটিন ও সংস্কৃত ভাষা শেখেন।পরবর্তীতে আইনশাস্ত্রে পড়ার জন্য তিনি ইংল্যান্ড যান।
মাইকেল মদুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক ছিলেন।তিনি বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্যেও অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্ববাসী এ কবিকে মনে রেখেছে ।
১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন এ মহাকবি।কলকাতায় তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য। তার অন্যান্য উলে¬খযোগ্য গ্রন্থাবলী : দ্য ক্যাপটিভ লেডি, শর্মিষ্ঠা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেকটর বধ ইত্যাদি।
এবারে করোনা পরিস্থিতির কারণে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মদিন ঘিরে মধুমেলা হচ্ছেনা। তবে সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে একদিনের কর্মসূচি গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে মহাকবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ,জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাগরদাঁড়ির মধুমঞ্চে কবির জীবনীর উপর আলোচনা সভা।এছাড়া রয়েছে কবিতা আবৃত্তি। তবে প্রথমবারের মতো এবছর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হচ্ছে।