পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ও সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবীসহ তিনজন নিহত

পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ও সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবীসহ তিনজন নিহত

পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ও সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবীসহ তিনজন নিহত

পাবনায় পৃথক দুর্ঘটনায় এক আইনজীবী ও কলেজছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার(২৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বাণিজ্যিক কেন্দ্র টেবুনিয়া বাজারে  সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক আইনজীবী নিহত ও ৪ জন আহত হন।

নিহত আইনজীবী হলেন-পাবনা জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আসাদুজ্জামান ফিরোজ (৪৮), তিনি পাবনা সদর উপজেলার ইসলামগাঁতি গ্রামের জামাল সরকারের ছেলে। আহত সবাইকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, দুপুরে শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে একটি হাইসের সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ফিরোজ মারা যান। তিনি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

তিনি দীর্ঘ ২২ বছর যাবত পাবনা কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার মৃত্যুতে কোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে বলে নিহতের পরম বন্ধু  অ্যাডভোকেট আহাদ বাবু জানিয়েছেন। ওসি আরো জানান, সকালে একই এলাকায় টেবুনিয়া ফার্মের সন্নিকটে ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধ নিহত হন।

পাবনা সদর উপজেলার বয়রা-কাশিনাথপুর নামক এলাকায় রাজশাহীগামী ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের চাপায় বৃদ্ধ মোজাহার হোসেন(৫৭) ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এছাড়া মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় এক বন্ধু নিহত অপরজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে পাবনা শহরের হাসপাতাল রোডস্থ জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মেহেদী হাসান রনি (২০) পাবনা সদর উপজেলার সিংগা পালপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ও পাবনা কলেজের ছাত্র ছিলেন। চলতি বছর রনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ছিলেন। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দুই বন্ধু বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে  মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে একটি  বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বন্ধু সাদির হোসেন (২১) এর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎকরা জানিয়েছেন। তিনি জেলার চাটমোহর উপজেলার সোহাসপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে। পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এ ঘটনায় হতাহতের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনটি ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, মৃতদেহগুলো স্ব স্ব পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।