আমিরাতে সফরে গেলেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট হ্যারজগ

আমিরাতে সফরে গেলেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট হ্যারজগ

আমিরাতে সফরে গেলেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট হ্যারজগ

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথম ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট হিসেবে সফরে গিয়েছেন আইজ্যাক হ্যারজগ। দুই দিনের সরকারি সফরে রোববার সকালে আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে পৌঁছান তিনি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান বিমানবন্দরে হ্যারজগকে স্বাগত জানান। প্রেসিডেন্ট হ্যারজগের সাথে তার স্ত্রী ও ইসরাইলের ফার্স্টলেডি মিশেল হ্যারজগও রয়েছেন।পরে টুইটারে আমিরাতে পৌঁছার বিষয়ে ছবিসহ এক বার্তা দেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট।

টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথম সফর শুরু হলো। আবুধাবিতে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমরা আনন্দিত ও আবেগতাড়িত।’এর আগে রোববার ভোরে ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আবুধাবির উদ্দেশ্যে রওনা দেন আইজ্যাক হ্যারজগ।

বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বের সাথে আমি বৈঠক করবো। যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে এই সফরে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি তার সাফল্য কামনা করছি এবং আমি তার সাহসী নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞ, যার মাধ্যমে ইসরাইলের সাথে এক শান্তি চুক্তি হয়েছে এবং পুরো অঞ্চলের কাছে বার্তা পৌঁছানো হয়েছে যে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য শান্তিই একমাত্র বিকল্প।’

দুই দিনের সফরে আবুধাবি ও দুবাইয়ে যাবেন হ্যারজগ। সফরে আবুধাবির যুবরাজ ও আমিরাতের ডি ফ্যাক্টো শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানসহ দুবাইয়ের শাসক ও আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুম ও অন্য পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট।এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের আগস্টে পারস্য উপসাগরীয় দুই দেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলের সাথে স্বাভাবিক কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে সম্মতি জানায়। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউজে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলের সাথে কথিত 'ইবরাহীমি চুক্তির' মাধ্যমে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ ও বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তায় চুক্তিবদ্ধ হয়।

চুক্তির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলে তাদের কূটনীতিক মিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। ইসরাইলের দখলদারিত্বের শিকার ফিলিস্তিনি আরবরা এই চুক্তিকে তাদের পিঠে ছুরিকাঘাতের সাথে তুলনা করছেন।

সূত্র : আলআরাবিয়া, খালিজ টাইমস ও ইসরাইল হায়োম