বুড়ো গিরুদে আটকে গেল ইন্টার মিলান

বুড়ো গিরুদে আটকে গেল ইন্টার মিলান

ছবি: সংগৃহীত

ফরাসি তারকা অলিভার গিরুদ আরো একবার প্রমান দিলেন কেন তাকে বারবার মনে রাখতে হবে, কোনভাবেই ফেলে দেয়া যাবে না। শনিবার সিরি-এ লিগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ও টেবিলের শীর্ষে থাকা ইন্টার মিলানকে ২-১ গোলের হারানোর ম্যাচটিতে দুটি গোলই করেছেন ৩৫ বছর বয়সী গিরুদ। এই জয়ে মাত্র এক পয়েন্ট দুরে থেকে শিরোপা লড়াইয়ে ইন্টারের উপর গরম নি:শ্বাস ছাড়তে শুরু করেছে এসি মিলান। 

যদিও বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা মিলানের থেকে এক ম্যাচ কম খেলেছে। সান সিরোতে কর্ণার থেকে মিডফিল্ডার ইভান পেরিসিচের ভলিতে ৩৯ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক ইন্টার। ৭৫ মিনিটে ফ্রান্সের সর্বকারের সর্বোচ্চ গোলদাতা গিরুদ সমতা ফেরানোর আগ পর্যন্ত সিমোনে ইনজাগির দল সহজভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে রেখেছিল। চার মিনিট পর ডান পায়ের অসাধারণ দক্ষতায গোলরক্ষক সামির হানডানোভিচকে পরাস্ত করে গিরুদ মিলানের দুর্দান্ত জয় নিশ্চিত করেন। ৪৬ গোল করে আন্তর্জাতিক জার্সি গায়ে ফ্রান্সকে সর্বোচ্চ গোল উপহার দেয়া গিরুদ আরো একবার নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগালেন।

 জয়সূচক গোলটির পরপরই গিরুদ মিলানের সমর্থকদের দিকে দৌঁড়ে গিয়ে তা উদযাপন করেছেন। একইসাথে হয়ত এই বার্তাও পৌঁছে দিয়েছেন ইনজুরি আক্রান্ত আইডল জøাটান ইব্রাহিমোভিচ না থাকলেও, তিনি তো আছেন। যদিও জøাটানের মত জনপ্রিয় গিরুদ কখনই হতে পারেননি। কিন্তু তার মধ্যে অন্য ধরনের গুন আছে। পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই দারুণভাবে সমালোচনার মুখে পড়েও কোনদিন গিরুদ থেমে যাননি, কিংবা পিছনে ফিরে তাকাননি। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার সাথে সাথে গিরুদ কোচ স্টিফানো পিউলির কোলে চড়ে বসেন। 

গিরুদের প্রথম গোলটি এসেছিল কাউন্টার এ্যাটাক থেকে। মধ্যমাঠে বদলী খেলোয়াড় এ্যালেক্সিস সানচেজ বলের পজিশন হারালে বলটি নিয়ন্ত্রনে নেয় মিলান। আর সেই আক্রমন থেকে গিরুদ সমতা ফেরান। ইনজুরি টাটইমে লেফট-ব্যাক থিও হার্নান্দেজ লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে গেলে মিলানকে ১০ জন নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে হয়েছে। 

ইন্টার কোচ ইনজাগি অবশ্য এই পরাজয়ে হতাশাই প্রকাশ করেছে। তার দল ভালমতই ম্যাচেই এগিয়ে গিয়েছিল। তবে মিলান গোলরক্ষক মাইক মেইগনান যেভাবে একের পর ইন্টারের ফরোয়ার্ডদের হতাশ করেছেন তাতে এটাই প্রমান হয় যে অচিরেই ফ্রান্সের এক নম্বর গোলরক্ষক হিসেবে তাকে বিবেচনা করতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে কাতার বিশ্বকাপেই তাকে ফ্রান্সের মূল একাদশে দেখা যেতে পারে। মার্সেলো ব্রোজোভিচের ২০ মিটার দুর থেকে শটটি দারুনভাবে রুখে দেন মেইগনান।

এরপর ডেনজেল ডামফ্রাইয়ের লো শট আটকে দেন। ৩৫ মিনিটে সান্দ্রো টোনলির ২৫ মিটার দুরত্বের জোড়ালো শট যখন হানডানোভিচ আটকে দিয়েছিলেন বিপরীতে ঠিক তখনই লটারো মার্টিনেজকে হতাশ করেন মেইগনান। তবে চার মিনিট পর সাবেক মিলান খেলোয়াড় হাকান কালহানগ্লুর কর্নার থেকে পেরিসিচের শট আর রুখতে পারেননি মেইগনান। 
এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে ফিওরেন্টিনাকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে ল্যাজিও। এই জয়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রোমাকে তারা গোল ব্যবধানে পিছনে ফেলেছে। 

সার্বিয়ান মিডফিল্ডার সার্গেই মিলিনকোভিচ-সাভিচের গোলে দ্বিতীয়ার্ধের  শুরুতেই এগিয়ে যায় ল্যাজিও। এটি এবারের মৌসুমে সার্গেইর অষ্টম গোল। ৭০ মিনিটে তারকা স্ট্রাইকার সিরো ইমোবিলের মৌসুমের সর্বোচ্চ ১৮তম গোলে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। ৮১ মিনিটে ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ানো বিরাগির আত্মঘাতি গোলে ল্যাজিওর বড় জয় নিশ্চিত হয়।

ধুকতে থাকা জেনোয়ার সাথে ঘরের মাঠে গোলশুন্য ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে রোমা। এর ফলে তাদেরকে টপকে ষষ্ঠ স্থানে উঠে গেছে ল্যাজিও। পঞ্চম স্থানে থাকা জুভেন্টাসের থেকে হোসে মরিনহো রোমা তিন পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে।

 সূত্র: বাসস