দুর্নীতির মামলায় চেয়ারম্যানসহ ১১জনের জেল-জরিমানা

দুর্নীতির মামলায় চেয়ারম্যানসহ ১১জনের জেল-জরিমানা

দুর্নীতির মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১১জনের জেল-জরিমানা করেছে যশোরের স্পেশাল জজ আদালত

যশোর প্রতিনিধি: দুর্নীতির মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌরমেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ১১ জনকে ৫ বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে যশোরের স্পেশাল জজ আদালত।

নড়াইলের রূপগঞ্জ হাট ইজারা দিয়ে ১২ লাখ ২২ হাজার ৮০ টাকা আত্মসাতের মামলায় এ রায় দেয়া হয়েছে। যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এ আজ বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডিতদের মধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ৮জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকী তিনজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৪১২ বাংলা সালে নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ সাধারণ হাট ও নড়াইল বাস টার্মিনাল ইজারা দিয়ে ৭ লাখ ৮১ হাজার ২০ টাকা ও ১৪১১ সালে একই হাট ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আদায় করে পৌর মেয়র সোহরাব হোসেন ও কমিশনাররা। কিন্তু সমুদয় টাকা পৌরসভায় জমা না দিয়ে ইজারাদারদের সহযোগীতায় আত্মসাৎ করে। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারি পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার সচিবসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। একইসাথে আত্মসাৎকৃত ১২ লাখ ২২ শ ৮০ টাকার মধ্যে আসামী জিল্লুর রহমান ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬০ টাকা, সোহেল রানা ৩ লাখ ৫২ হাজার ১শ ২০ টাকা, রাধেকুন্ডু ৩ লাখ ৫০ হাজার , রকিবুল ইসলাম ১ লাখ ৮৫ হাজার , ইজাজুল হাসান ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯শ টাকা পরিশোধ করবে রায়ে উল্লেখ করা হয়।  রায় ঘোষণাকালে আসামি এজাজুল হাসান, জিল্লুর রহমান ও রকিবুল হাসান বাদে সকলেই কারাগারে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাবার কথা জানিয়েছেন মামলার আসামি পক্ষের