সদর হাসপাতালে ফের হেনস্তার শিকার কুবি শিক্ষার্থী

সদর হাসপাতালে ফের হেনস্তার শিকার কুবি শিক্ষার্থী

সদর হাসপাতালে ফের হেনস্তার শিকার কুবি শিক্ষার্থী

কুবি শিক্ষার্থী কুবি প্রতিনিধি ভাইয়ের করোনা টেস্ট করতে গিয়ে কুমিল্লা সদর হাসপাতালের কর্মচারীর হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন আবু মুসা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১১ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

 ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু মুসা সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে হাসপাতালের প্রবাসী করোনা টেস্ট বুথে তার বড় ভাইকে নিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়ায়। এসময় আউটসোর্সিং কর্মীরা টাকার বিনিময়ে সিরিয়ালের বাহিরে অনেকের করোনা টেস্ট করিয়ে দেন। কিন্তু প্রায় তিন ঘন্টা অপেক্ষার পর সাড়ে ১০ টার দিকে তাদের সিরিয়াল আসলে আউটসোর্সিং কর্মীরা জানায় কুমিল্লা জেলার বাহিরে কোন লোকের করোনা টেস্ট করানো হয় না।

 যদিও প্রথমে তারা জানায় টেস্ট করানো হবে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানালে দায়িত্বরত কর্মীরা প্রথমে কলার চেপে ধরে এবং বাঁশ নিয়ে মারধরের জন্য এগিয়ে আসে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবু মুসা বলেন, ‘আমার বড় ভাই আগামীকাল সৌদি আরব যাওয়া জন্য টিকিট কেটেছে। সেজন্য করোনা টেস্ট করাতে সদর হাসপাতালে যাই।

সেখানে গিয়ে দেখি যারা সকাল থেকে করোনা টেস্ট করানোর জন্য লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে তাদের অতিক্রম করে টাকার বিনিময়ে অন্যরা টেস্ট সম্পন্ন করতেছে। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সংশ্লিষ্ট কর্মী আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসে। পরে বিষয়টি মোবাইলে ধারন করতে গেলে আমার ফোন কেড়ে নেয় তারা। এবং আমার কলার চেপে ধরে।

এক ঘন্টা পরে আমি এবং লাইনে দাড়ানো অন্যদের অনুরোধ ভিডিও ডিলিট করে মোবাইল ফেরত দেয়। পরে বিষয়টি সংবাদ কর্মীদের জানালে তারা সমাধান করার জন্য ডেকেছে এবং আমাকে ১৫০০ টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে বলেন।' এবিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, 'বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

আমি ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জেনেছি। ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।' বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, 'কয়েকদিনকয়েকদিন আগেও একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীর সাথে। আমি ওই শিক্ষার্থীর সাথেও কথা বলেছি।

সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলব এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। পাশাপাশি আজকের ঘটনায় জড়িতের শাস্তির আওতায় আনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা দিতে গেলে বা অন্য কোন কাজে গেলে হেনস্তার শিকার হবে এটা খুবই দুঃখজনক। প্রসঙ্গত, এর আগে গত (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে টিকা নিতে গিয়ে টিকাকর্মীর হাতে হেনস্তার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সারাফাত সিজান।