দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পেছনে রয়েছে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ফাইল ফটো
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পেছনে রয়েছে বিগত ১৩ বছর ধরে একটি নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, ‘১৩ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন আপনারা লক্ষ্য করেছেন। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় এই উন্নয়ন অর্জিত হয়েছে এবং এই ১৩ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি সফর উপলক্ষে শুক্রবার সেখানে তার সম্মানে দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আবুধাবিতে তার বাসস্থান থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বাংলাদেশী প্রবাসীরা তিনটি ভেন্যু থেকে যুক্ত হন। সেগুলো হলো- দুবাইতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, আবুধাবি থিয়েটার এবং রাস আল খাইমায় বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর অনেক বছর দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো ধারাবাহিকতা ছিল না।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর একটি কালো অধ্যায় ছিল। সেই কালো মেঘ কেটে গেছে। আমরা এখন জাতির পিতার আদর্শে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং কেউ আর পিছিয়ে নিতে পারবে না।’
কোভিড-১৯ এর সময়ে দেশ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখন আরেকটি নতুন সমস্যা এবং এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে।
তিনি বলেন, ‘তাই আমরা আরেকটি অস্বভাবিক ঘটনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরাও কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তবে আমি বিশ্বাস করি আমরা বাংলাদেশে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং দুই দেশের মধ্যে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমার সফর খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।’
প্রবাসে চাকরিপ্রার্থীদের অবৈধ পথে বিদেশ না যেতে এবং বিদেশে যাওয়ার জন্য জমি বিক্রি না করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে বিদেশের মাটিতে নিয়ম-কানুন মেনে চলার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনাকে নিজের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে; নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বদেশ ও স্বাগতিক উভয় দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে।’
প্রবাসীদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার তাদের জন্য দ্রুত পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত এবং বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধে নজরদারি জোরদার করতে আরো সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যখন একাধিক ফ্লাইট একই সময়ে অবতরণ করে তখন বিমানবন্দরে লাগেজ ডেলিভারি পরিষেবা নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা যায়।
তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের চলমান নির্মাণ কাজ শেষ হলে লাগেজ নিয়ে সমস্যার অবসান হবে।
সূত্র : ইউএনবি