কুবিতে পাই দিবস উদযাপন

কুবিতে পাই দিবস উদযাপন

কুবিতে পাই দিবস উদযাপন

গাণিতিক ধ্রুবক 'পাই' এর সম্মানে আন্তর্জাতিক পাই দিবস উদযাপন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিজ্ঞানভিত্তিক সংগঠন ‘কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি সায়েন্স ক্লাব'। সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র‍্যালির মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে জাতীয় পাই (π) দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়।

তবে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে ২০০৬ সাল থেকেই এ দেশে দিবসটি উদযাপন হয়ে আসছে। 'পাই' এর মানের প্রথম তিনটি সংখ্যা যথাক্রমে ৩, ১ ও ৪ হওয়ায় ইংরেজি বর্ষের ৩য় মাসের ১৪ তারিখে এ বিশ্বব্যাপী এ দিবস উদযাপন হয়ে আসছে। কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি সায়েন্স ক্লাবও ২০১৫ সাল থেকে নানা আয়োজনের মধ্য দিতে দিবসটি পালন করে আসছে। সোমবার 'পাই দিবস' উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সায়েন্স ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন। এসময় তিনি বলেন, বিজ্ঞান চর্চায় সায়েন্স ক্লাবের মতো সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পাই দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে তারা আবারও এর প্রমাণ দিয়েছে। আমি সায়েন্স ক্লাবের উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। অধ্যাপক আবদুল মঈন শিক্ষার্থীদেরকে অ্যাকাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসেও নিজেদেরকে সমৃদ্ধ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান।

সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত শাওন বলেন, পাই দিবস আপেক্ষিকতার তত্ত্বের জনক বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনেরও জন্মদিন। আবার এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন আরেক বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। বিজ্ঞানের জগতে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এই দিনটিকে সম্মান জানিয়ে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি সায়েন্স ক্লাব দিবসটি উদযাপনের পাশাপাশি ২০২২ সালের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমও শুরু করেছে।

এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সায়েন্স ক্লাবের মডারেটর এবং গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, সহকারী অধ্যাপক মোঃ জিল্লুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান ও সায়েন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ডি নুরুল মোস্তফাসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে পদার্থবিদ ল্যারি শ’ পাই দিবস এর ধারণার প্রবর্তন করেন। সানফ্রানসিসকোর বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকর্তা ল্যারি শ’ এই দিবস উদযাপনের উদ্যোক্তা বলে তাকে ‘পাই-এর রাজপুত্র’ বলা হয়।