জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা বাড়লেও বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ।

বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বলেন, ‘আমি যেটা আপনাদের বলতে পারি, তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ পর্যন্ত সব সূচক যা বলছে, তেলের সরবরাহ নিয়ে শঙ্কার কিছু এখনো নেই।’

সকালে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর শুল্ক খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চু‌ক্তি এবং বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাদশা ফয়সাল ইনস্টিটিউটের ম‌ধ্যে সহযোগিতা স্মারক সই ক‌রে‌ছে বাংলা‌দেশ ও সৌ‌দি আর‌ব।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার দুপুরের পর তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

জ্বালানি তেল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সৌদি আরব প্রতিদিন ১১ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে, যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১১ শতাংশের মত।বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সৌদি আরবের আরামকো থেকে বছরে সাত লাখ টন আরব লাইট অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে।

তেল উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়া প্রতিদিন প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রফতানি করে, যার অর্ধেকের বেশি যায় ইউরোপে।ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মত ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ও পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করলে প্রতি ব্যারেলের দাম উঠে যায় ১৩৯ ডলারে, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ।গত কয়েক দিনে তা আবার ১০০ ডলারের আশপাশে নেমে এলেও বিশ্ববাজারে শঙ্কা আর অস্থিরতা কমেনি। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তার প্রভাব বাংলাদেশে কতটা পড়বে, সরবরাহে জটিলতা তৈরি হবে কি না, সেসব বিষয়ে বাংলাদেশেও উদ্বেগ রয়েছে।