আরিয়ান খান মাদক মামলার সাক্ষীর মৃত্যু

আরিয়ান খান মাদক মামলার সাক্ষীর মৃত্যু

আরিয়ান খান মাদক মামলার সাক্ষীর মৃত্যু

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো আরিয়ান খানের মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেল। ভারতের মুম্বাইয়ের মাহুল এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে সেখানেই মারা যান বলে জানা গেছে।

গত বছরের ২ অক্টোবর মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে হানা দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেখান থেকেই আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাকে আটক করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। পরে আর্থার রোড জেলে রাখা হয় শাহরুখ খানের ছেলেকে।

২৮ অক্টোবর আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাইকোর্ট। তার দু দিন পর আর্থার রোড জেল থেকে মান্নাতে ফেরেন আরিয়ান। আরিয়ানের পর জামিনে ছাড়া পান আরবাজ ও মুনমুন।

জানা গেছে, আরিয়ান মামলার আরেক সাক্ষী কে পি গোসাভি ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন প্রভাকর। শাহরুখপুত্রকে যখন এনসিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়, এই গোসাভিই তার সাথে সেলফি তুলে পোস্ট করেছিলেন। গোসাভির ছায়াসঙ্গী হওয়ার কারণেই হয়তো এনসিবি পক্ষের সাক্ষী হয়েছিলেন প্রভাকর। মুম্বাইয়ের ওই ভাড়ার বাড়িতে মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন প্রভাকর। তার মৃত্যুতে কোনো অস্বাভাবিকত্ব নেই বলেই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর বিশেষ তদন্তকারী দল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ্যে আসে সেই খবর।

শোনা যায়, আরিয়ান, মুনমুন ও আরবাজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে কোনো অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পাননি এনসিবির তদন্তকারী অফিসাররা। আরিয়ানের কাছে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। এমনকী, কর্ডেলিয়া ক্রুজে যখন নারকোটিক্স কন্ট্রোল অফিসাররা হানা দেন, সে সময়ও আরিয়ান নেশাচ্ছন্ন ছিলেন না। কোনো বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ নন শাহরুখপুত্র। অপরাধও করেননি। বিশেষ তদন্তকারী দলের তদন্তে নাকি এমন তথ্যই জানা গিয়েছিল।

কিছু দিন আগে আইপিএলের নিলামে কেকেআরের হয়ে যোগ দিয়েছিলেন আরিয়ান। পরে কেকেআরের খেলার সময়ও তাকে মাঠে দেখা গিয়েছিল।