একদিকে চলছে ইফতার বিতরণ অন্যদিকে মারামারি!

একদিকে চলছে ইফতার বিতরণ অন্যদিকে মারামারি!

একদিকে চলছে ইফতার বিতরণ অন্যদিকে মারামারি!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ইফতারের ২০-২৫ মিনিট আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা যখন হলগুলোতে ঘুরে ঘুরে ইফতার বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করছিলেন তখনই ক্যাম্পাসের জিয়া মোড়ে বহিরাগত ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনিয়ন্ত্রিত বাইক চালানোর সময় এক শিক্ষার্থীর হাতে আঘাত পাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে রকি ও শান্ত নামের দুইজন বহিরাগত বাইকে করে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী হাসিব সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার পাশ দিয়ে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে যাওয়ার সময় বাইক হাসিবের হাতে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। রকি একটু সামনে গিয়ে বাইক থামালে হাসিব সেখানে গিয়ে এভাবে বাইক চালানোর কারণ জানতে চায়। এসময় রকি তার কথায় তোয়াক্কা না করে বলে ‘তো কী হয়েছে?’। এতে হাসিব ক্ষিপ্ত হয়ে রকিকে থাপ্পড় দেয়। এতে রকি উত্তেজিত হলে তা মারামারিতে রূপ নেয়।

এসময় সেখানে অবস্থানরত রকির সহযোগী অন্য বহিরাগত এবং হাসিবের সহযোগীদের মধ্যে স্ট্যাম্প ও লাঠিসোঁঠা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় রকি ও হাসিবের পক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতারা মীমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে এলে আবারো হট্টগোল শুরু হয়। শেষে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ও সবাই ইফতারে চলে যান।

হাসিবের দাবি, রকিকে থাপ্পড় দিলে সে পাশের মুদি দোকান থেকে স্ট্যাম্প এনে তার হাতে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুত্বর আহত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করলে ডাক্তার হাত ভেঙ্গে গেছে বলে জানান।

এ ঘটনায় ইফতারের পরও ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করে এবং কয়েকজন বহিরাগতকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ জিয়া মোড়ের আশপাশে অবস্থান করতে দেখা যায়।

বহিরাগত রকি বলেন, ‘আমি ও আমার বন্ধুরা ইফতার কিনতে গিয়েছিলাম। বাইক থামালে হাসিব এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে থাপ্পড় দেয়। এসময় আমি ও আমার বন্ধুদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়। তারা আমাকে মারতে মারতে ড্রেনে ফেলে দেয়।’

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। চিহ্নিত বহিরাগতরা যেন প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করবো। বেপরোয়া বাইক চালানো নিয়ন্ত্রণে স্পিড ব্রেকার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।’