যে ছয় রোজায় হাসিল হয় ২ মাস রোজার সাওয়াব

যে ছয় রোজায় হাসিল হয় ২ মাস রোজার সাওয়াব

ফাইল ছবি

মহাল আল্লাহ তায়ালা মাহে রমজানের রোজায় অফুরন্ত সাওয়াব দিয়ে থাকেন। এক মাস সিয়াম পালনকারী ১০ মাস রোজার সাওয়াব পেয়ে থাকেন। বছরের বাকি দুই মাস রোজা রাখার সাওয়াব পূর্ণ করতেই শাওয়ালের ছয়টি রোজা রয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে এই রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কিরামদের রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল। ’ (মুসলিম : ২/৮২২)

রমজানের ৩০টি রোজার সঙ্গে শাওয়ালের ছয়টি রোজা যুক্ত হলে মোট রোজার সংখ্যা হয় ৩৬। আর প্রতিটি পুণ্যের জন্য ১০ গুণ পুরস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে কোরআনুল কারিমে। তাহলে ৩৬টি রোজার ১০ গুণ হলে ৩৬০টি রোজার সমান (এটি পুরস্কারের দিক থেকে)। অর্থাৎ সারা বছর রোজার সমান সওয়াব হবে। হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এই হলো এক বছরের রোজা। ’ (নাসায়ি : ২/১৬২)

 

হজরত উবাইদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি কি সারা বছর রোজা রাখতে পারব?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমার ওপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে। কাজেই তুমি সারা বছর রোজা না রেখে রমজানের রোজা রাখো এবং রমজান-পরবর্তী শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখো, তাতেই সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে। ’ (তিরমিজি : ১/১৫৭)

শাওয়ালের ছয়টি রোজা নারী-পুরুষ সবার জন্যই সুন্নত। মাসের শুরু-শেষ কিংবা মাঝামাঝি সব সময়ই রাখা যায় এই রোজাগুলো। একনাগাড়ে অথবা মাঝে ফাঁক রেখে পৃথকভাবেও রাখা যায়। শাওয়াল মাসে শুরু করে শাওয়াল মাসে শেষ করলেই হলো। তবে ঈদুল ফিতরের পর শাওয়ালের প্রথম দিকে একসঙ্গে ছয়টি রোজা রাখাই উত্তম।