ফেসবুকে স্ট্যাটাস: শাস্তি পেলেন সারওয়ার আলম

ফেসবুকে স্ট্যাটাস: শাস্তি পেলেন সারওয়ার আলম

ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন র‌্যাবের সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট । যার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে— মর্মে তাকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। জানা যায়, প্রশাসনের ৩৩৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে গত বছরের ৭ মার্চ উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই তালিকায় নাম ছিল না বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সারওয়ার আলমের। পরের দিন অর্থাৎ একই বছরের ৮ মার্চ ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে র্যা বের সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লেখেন- যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের চাকরি জীবনে অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা চাকরি জীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই এ দেশে অন্যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ওই স্ট্যাটাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সারওয়ার আলম একজন সরকারি কর্মচারী। অথচ সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তিনি এ ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা-সুলভ আচরণ করেননি। তাছাড়া এ ধরনের আচরণে জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।

তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ' এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয় এবং অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী গত বছরের ৩০ জুন পাঠিয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়। তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কোনো লিখিত বক্তব্য দাখিল করেননি সারওয়ার আলম, বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।

এতে আরো বলা হয়, সারওয়ার আলমের অভিযোগের বিষয়ে নিয়োগ করা হয় তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর তা পর্যালোচনায় দেখা যায়। এ ছাড়া ফেসবুকে মন্তব্য করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সারওয়ার আলম। অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে আনা ‘অসদাচরণ' এর অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে।

এ অবস্থায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ৩(খ) বিধিতে বর্ণিত ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিধিমালার ৪(২)(ক) বিধি অনুযায়ী তাকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।