ওডেসায় রুশ হামলা, অস্ত্রের চালান ব্যাহতের চেষ্টা

ওডেসায় রুশ হামলা, অস্ত্রের চালান ব্যাহতের চেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া মঙ্গলবার ওডেসার কৃষ্ণ সাগর বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, মস্কো মূলত উত্পীড়ক এই যুদ্ধের ১১তম সপ্তাহে ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের চালান এবং সরবরাহ লাইন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, রাশিয়া ওডেসার লক্ষ্যবস্তুতে সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো একটি বিপণী কেন্দ্র এবং একটি গুদামে আঘাত হানে, এতে কমপক্ষে একজন নিহত এবং আরো পাঁচজন আহত হয়েছেন।

ওডেসার মেয়র গেনাডি ট্রুখানভ ভোরবেলা গুদামটি পরিদর্শন করে বলেন, এখানে সামরিক অবকাঠামো বা সামরিক বস্তুর কোনো কিছুই চিহ্নিত করা যায়নি।

তবে, পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি জন কারবি সংবাদদাতাদের বলেছেন, ওডেসায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়ে কথা বলার মতো কোনো প্রমাণ তিনি দেখতে পাননি।

কারবি আরো বলেন, ওডেসাতে বা অন্য কোথাও হামলার ফলে ইউক্রেনে অস্ত্র উৎপাদনের প্রবাহ কিংবা চালানে কোনোই প্রভাব পড়েনি।

এদকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ মঙ্গলবার ইউক্রেনের জন্য নতুন সামরিক ও মানবিক সহায়তার জন্য প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলারের একটি প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়ে বিতর্ক করেছে, যা গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া প্রতিশ্রুতির চেয়ে ৭০০ কোটি ডলার বেশি।

বাইডেন বলেছেন, তার প্রশাসন পেন্টাগনের মজুদ থেকে অস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার বিদ্যমান কর্তৃত্ব ‘প্রায় নিঃশেষ’ করে ফেলেছে।

তারপরও এই যুদ্ধের কোনো শেষ নেই বলেই মনে হচ্ছে। এমনকি, হাজার হাজার রুশ বাহিনী এবং ইউক্রেনীয় সেনা ও বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত ফলাফল অমীমাংসিতই থেকে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক লিউটেন্যান্ট জেনারেল স্কট বেরিয়ার সিনেট কমিটিকে বলেছেন, কোনো পক্ষকেই এখন পর্যন্ত জয়ী বলা যাচ্ছে না।

বেরিয়ার বলেন, এই যুদ্ধে রাশিয়ানরাও জিতছে না এবং ইউক্রেনীয়রাও জিতছে না। তাই বলা যায় আমরা এখানে কিছুটা অচলাবস্থার মধ্যেই আছি।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক মঙ্গলবার ইউক্রেনে একটি অঘোষিত সফর করেছেন, এর মধ্যে বুচায়ও তিনি যাত্রা বিরতি করেন।

বেয়ারবক হলেন সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব যিনি ইউক্রেনে গিয়ে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং দেশটির পরিস্থিতি সম্পর্কে সরেজমিনে সব কিছু দেখতে পান। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো রোববার ইউক্রেনে পৃথক পৃথক ভাবে সফর করেছেন।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা