মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরস্কার দেয়ার প্রতিবাদে ইস্তফা, সম্মান ফেরত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরস্কার দেয়ার প্রতিবাদে ইস্তফা, সম্মান ফেরত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দুইবার একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন রত্না রশিদ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০০৯ ও ২০১৯ সালে। এই গবেষক ২০১৯ সালের অন্নদাশঙ্কর স্মারক সম্মান ফেরত দেয়ার ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা একাডেমির বিশেষ সম্মান দেয়ার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন রত্না।

এর পাশাপাশি সাহিত্য একাডেমির বাংলা উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। তিনি তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ''৯ মে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে যা হয়েছে, তা বাংলা কবিতার প্রতি অপমান। এর আগেও আমি দেখেছি, কলকাতায় বাংলা সাহিত্যের জগতে নিজেদের ইচ্ছামতো মানুষকে পছন্দ করা হয়, স্বজনপোষণ হয়, পিক অ্যান্ড চুস থিওরি রূপায়ণ করা হয়।'' অনাদিরঞ্জন বলেছেন, ''আমার বিবেক ও নৈতিকতার কারণে আমি ইস্তফা দিচ্ছি।'' তিনি চিঠিতে এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ইস্তফাপত্র তিনি সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে দেবেন।

রত্না বলেছেন, ''যেভাবে বাংলা একাডেমি এই পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করেছে, তার একটা প্রতিবাদ দরকার।''  তিনি বলেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী সবার ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছেন। তার কাছ থেকে ম্যাচিওরড সিদ্ধান্ত আশা করি। বইয়ের একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকতে হবে। পুরস্কার দিতে চাইলেই বা তিনি কেন নেবেন?'' সামাজিক মাধ্যমেও এই পুরস্কার নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। 

মমতার পক্ষে সওয়াল

বাংলা একাডেমির সভাপতি ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া হলো, শুধু বাঙালিদের একটা অংশই এমন পারে! তার এখন বলতে ইচ্ছে করছে, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি। ব্রাত্যর মতে, অ-বাঙালিরা এরকম করতেন না।

কবি সুবোধ সরকার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভীক মজুমদার পুরস্কার ফেরত দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সুবোধ সরকার আনন্দবাজারকে বলেছেন, ''সামাজিকভাবে যাদের বড় ভূমিকা আছে এবং যারা সাহিত্য রচনা করছেন, তাদের এই পুরস্কার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রতিবাদে কেউ তার পুরস্কার বা সম্মান ফেরত দিলে সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।''

অভীক মজুমদারও জানিয়েছেন, 'কেন সম্মান ফেরত দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটা তার কাছে স্পষ্ট নয়। 

সূত্র : ডয়চে ভেলে