কোন জাতীয় সরকার বাংলার জনগণ মেনে নেবে না : পাবনায় আব্দুর রহমান

কোন জাতীয় সরকার বাংলার জনগণ মেনে নেবে না : পাবনায় আব্দুর রহমান

কোন জাতীয় সরকার বাংলার জনগণ মেনে নেবে না : পাবনায় আব্দুর রহমান

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন,‘বাংলার জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও সংবিধানের বাইরে কোন জাতীয় সরকার মেনে নেবে না। বাংলার জনগণ সেই ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (২১ মে) দুপুরে পাবনার আমিনপুর ফুটবল মাঠ প্রাঙ্গণে আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি ইঙ্গিত করে সম্মেলনে আব্দুর রহমান বলেন, একজন ডাক্তার একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন।‌ জাতীয় সরকারেরকে প্র্রধানমন্ত্রী হবেন আর কে মন্ত্রী হবেন সব নাম প্রকাশ করেছেন। আসলে কুঁজো মানুষ চিৎ হয়ে শোয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এক দলের এক নেতা-যারা আমাদের একটা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে নির্বাচন করে পারবেন না; অথচ তারা জাতীয় সরকারের স্বপ্ন দেখছেন। কোন সাংবিধানিক সরকার ছাড়া কোন জাতীয় সরকার আমরা মেনে নেব না।’ বাংলার মানুষ নিষ্ঠুরভাবে প্রত্যাখান করবে বলে দাবি করেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সময় আর বেশি নেই। আগামী ২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যে প্রার্থী দিবেন সেই প্রার্থী পিছনে আপনাদের কাজ করতে হবে। যদি না করেন তাহলে আপনাদের কপালে দুঃখ। শেখ হাসিনা থাকলে দারিদ্র্য এবং ব নামুক্ত বাংলাদেশ হবে। অন্য কোন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে আসবে-তাই আওয়ামী লীগের  নেতাকর্মী তা হতে দেবে না।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, কথায় কথায় মির্জা ফখরুল সাহেব টাকা পাচারের কথা বলেন, দুর্নীতির কথা বলেন। অথচ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছিল। তাদের নেতা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বিশ্বের শীর্ষ তিনটি দুর্নীতিবাজ পরিবারের মধ্যে জিয়া পরিবার একটি।‌ এরপরও দুর্নীতি, টাকা পাচার নিয়ে তাদের কথা বলতে লজ্জা করে না?

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো এরকম প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হয়। আগামী জুন মাসেই এই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, করোনার কারণে আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। সেই কারণে আমাদের দেশেও তেলের দাম  বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগ নিয়ে আজকে যারা নির্বাচন চায় না তারা মাঠে নামবে।

থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অনিল কুন্ডু সাহার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির প্রমুখ।

সম্মেলনকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই সবার আগ্রহ। সভাপতি পদে ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে আমিনপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। থানা হওয়ার প্রায় ৮ বছর পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর আমিনপুরকে সাংগঠনিক ইউনিট ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এরপরেই সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটির গঠনের লক্ষ্যে থানা আ.লীগের আহবায়ক কমিটি করে জেলা আওয়ামী লীগ। সুজানগর উপজেলার ৩ টি এবং বেড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের এটি প্রথম সম্মেলন।