কুবিতে শিক্ষার্থীদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

কুবিতে শিক্ষার্থীদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

কুবিতে শিক্ষার্থীদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে প্রশাসন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করায় নিজেদের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৮ মে) বিকাল ৫ টা থেকে রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বিভিন্ন আয়োজনে মাতিয়ে রাখে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।

অনুষ্ঠানে নাটক, গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন বৃত্ত কুবি, প্রতিবর্তন, অনুপ্রাস, থিয়েটার কুবি, প্লাটফর্ম ও কুমিল্লার একইনিস ও থাউজ্যান্ড অফ ফেইম। এছাড়া পাহাড়ি গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালি, পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্তকরণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনায় শিক্ষার্থীদের কম উপস্থিতি থাকলেও বিকেলে শিক্ষার্থীদের আয়োজনে পরিপূর্ণ হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বর, আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক ও অনুষ্ঠানস্থল মুক্তমঞ্চ।

গান ও নৃত্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল নবীন, প্রবীণ ও সাবেক শিক্ষার্থীদের বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। তবে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি থাকলেও অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের আঁকিয়েদের সংগঠন বৃত্ত কুবির দলীয় উপদেষ্টা মনিম হাসান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছিল উচ্ছ্বসিত। করোনা ও রমজানের ছুটির কারণে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়নি।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত আমাদেরকে হতাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় যা আয়োজন করেনি তা আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভালবাসায় আয়োজন করেছি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের প্রতিবাদের ভাষা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি এটাই স্বার্থকতা।' শিক্ষার্থীদের আয়োজনে একাত্মতা পোষণ করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন কথা না শুনে সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের আয়োজন করেননি। বাজেটের দোহাই দিয়ে আয়োজন না করা মাত্র একটা অজুহাত।

গত অর্থবছরে এখনো ১ কোটি টাকার মতো রয়েছে যা খরচ করতে না পারলে ফেরত যাবে।' এর আগে দিবসটি উদযাপন করতে মূল্য সংযোজন করসহ ৮ লক্ষ ১ হাজার টাকার একটি বাজেট প্রস্তাবনা দিয়েছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২ উদযাপন কমিটি। তবে টাকার অভাব দেখিয়ে প্রস্তাবিত বাজেট থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে শুধুমাত্র র‌্যালি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো ও কেক কাটা এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনার জন্য ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮৬৪ টাকার অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।