শিক্ষাক্রমের রূপরেখা চূড়ান্ত

শিক্ষাক্রমের রূপরেখা চূড়ান্ত

ছবি: সংগৃহীত

কেবল দশম শ্রেণির লেখাপড়ার ওপর এসএসসি ও এইচএসসিতে দু’টি বোর্ড পরীক্ষা রেখে শিক্ষাক্রমের রূপরেখার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয়। 

সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে (আমাই) প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ, দশম শ্রেণির আগে কোনো কেন্দ্রীয় বা পাবলিক পরীক্ষা নেই। তৃতীয় পর্যন্তও কোনো পরীক্ষা থাকবে না। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন অগ্রগতি নিরূপন করা হবে। চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪০ আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

বৈঠকে প্রায় ৮০ সদস্য যোগ দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি) এবং শিক্ষাক্রম উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। 

রূপরেখায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ১০টি বিষয় প্রবর্তনের কথা আছে। বিজ্ঞান, মানবিক ও বিজনেস স্টাডিজ বলতে মাধ্যমিকে কোনো বিভাগ থাকবে না। এটি চালু হবে এইচএসসিতে। কেবল দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপরই বোর্ড পরীক্ষায় এসএসসির ফল হবে। একাদশ শ্রেণিতে এবং দ্বাদশ শ্রেণি শেষে আলাদা দু’টি বোর্ড পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে হবে এইচএসসির ফল। 

প্রাথমিকে পড়তে হবে আটটি বই। তবে সব শ্রেণিতেই শিখনকালীন মূল্যায়নেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর মাধ্যমিক স্তরর ষষ্ঠ শ্রেণির পাইলটিং চললেও প্রাথমিকে বছর শেষের দিকে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পাইলটিং করা হবে। 

এছাড়া আগামীবছর সারাদেশে পরীক্ষামূলক পাঠ্যবই দেওয়া হবে। বর্তমানে পাঠ্যবই লেখার কাজ চলছে। অর্থাৎ, ২০২৩ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন শিক্ষাক্রমের বই যাবে। এছাড়া আগামীবছর সপ্তম শ্রেণির পাইলটিং হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে পাইলটিং হবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণি যুক্ত হবে। ২০২৬ সালে একাদশ ও ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণি যুক্ত হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০ ধরনের শেখার ক্ষেত্র ঠিক করা হয়েছে। এগুলো হলো ভাষা ও যোগাযোগ, গণিত ও যুক্তি, জীবন ও জীবিকা, সমাজ ও বিশ্ব নাগরিকত্ব, পরিবেশ ও জলবায়ু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। প্রাক্-প্রাথমিকের শিশুদের জন্য আলাদা বই থাকবে না, শিক্ষকেরাই শেখাবেন।