৪০ বছরের আক্ষেপ ঘুচল অন্নদার

৪০ বছরের আক্ষেপ ঘুচল অন্নদার

ছবি: সংগৃহীত

অন্নদা দাস, বয়স ৬১ বছর। নিঃসন্তান এই বৃদ্ধার স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। আপন বলতে তেমন কেই নেই। ভোটার তালিকায় ছিল না নিজের নাম। এ নিয়ে আক্ষেপ ছিল বেশ। শেষপর্যন্ত বয়সের ভারকে উপেক্ষা করে হাজির হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকূট ইউনিয়নের নতুন ভোটার অন্তর্ভুকরণ কেন্দ্রে।

নাসিরনগরে ১৩টি ইউনিয়নের হালনাগাদকৃত প্রায় ২৪ হাজার ভোটারের ছবি তোলার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ভলাকুট ক্ষেত্রনাথ বিশ্বাস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ভোটারদের ছবি তোলার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। 


এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত মো. মোনাব্বর হোসনে, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ সরকার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম ও ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুবেল মিয়া। ছবি তোলার কাজ চলবে জুলাইয়ের ৮ তারিখ পর্যন্ত।


অন্নদা দাস জানান, আমার আপন বলতে তেমন কেউ নেই। কীভাবে ভোটার হতে হয় তাও জানতাম না। এটা নিয়ে আমার খুব আক্ষেপ ছিল। এবার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরে ভোটার হতে এসেছি। আমার ৪০ বছরের আক্ষেপ ঘুচল এবার।


নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, আগামী তিন বছরের মধ্যে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য ১৮ বছর হবেন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই হিসাবে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, তাদের ছবি তোলা হবে। এক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মা বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাসের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।

উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যারা ভোটার হতে পারেননি তারা নতুন ভোটার হওয়ার সুযোগ পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। নাসিরনগরে ১৩টি ইউনিয়নের মোট ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ তিন হাজার ২৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ দশ হাজার ৪৪৭ জন। এ বছর প্রায় ২৪ হাজার নতুন ভোটার যোগ হবে।