মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে পাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে পাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে পাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দু’জন নেতা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্ম্পকে বিতর্কিত মন্তব্য করার প্রতবিাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১১ জুন) বেলা সাড়ে এগারোটায় (১১:৩০ মিনিটে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে- বিশ্বনবীর কটূক্তিকারীদের শাস্তি চাই, বিশ্বনবীর অপমান সইবে না রে মুসলমান, ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড দেখা যায় ।মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি)  সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

 মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ব মুসলিমদের হৃদয়ের স্পন্দন মহানবী (সা.) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য কোনো মুসলমানই মেনে নিতে পারে না। এসময় তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর দাবি জানান।

তারা আরো বলেন, ভারতের এই বিজেপি হিন্দুত্ববাদী সরকার এবং তাদের নেতৃবৃন্দ প্রায়শই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করে এবং মুসলিমদের অবমাননা করে কথা বলে এর প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পৃথিবীর সকল মুসলিমদের আহবান জানাই তারা যেন ভারতসহ যে রাষ্ট্রই এমন আচরণ করবে তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এক হয়ে তারা যেন সকল অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের প্রতিবাদী কার্যক্রম আসলে মহানবী (সা.) এর প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে বিশ্ব নবীর সম্মানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় একটি টকশাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা নুপুর শর্মা। পরে বিষয়টি পুনরায় টুইটারে পোস্ট দেন নাভিন কুমার জিন্দাল। এ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে।