পানি নামতে শুরু করেছে সিলেট-সুনামগঞ্জের

পানি নামতে শুরু করেছে সিলেট-সুনামগঞ্জের

ছবি: সংগৃহীত

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এখনো লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।

রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় গত কয়েকদিন সুনামগঞ্জ জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রাস্তা থেকে পানি কিছুটা নেমে যাওয়ায় রোববার রাতে সিলেট থেকে কয়েকটি গাড়ি জরুরি সেবা নিয়ে সুনামগঞ্জে পৌঁছেছে।

তবে অধিকাংশ জায়গায় পানি নামতে থাকলেও এখনো জেলার অনেক স্থানেই মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।

বলেন, ‘অনেক জায়গাতে এক বাসায় চার-পাঁচটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে তাদের কাছে জরুরি সেবা ও ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানের ৪৫০টির বেশি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখের বেশি মানুষ অবস্থান করছেন।

সুনামগঞ্জের জেলার অধিকাংশ স্থানেই এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সীমিত আকারে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হলেও গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় জেলার সব জায়গায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান জাহাঙ্গীর হোসেন।

স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী জরুরি ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছে।

জেলা প্রশাসক জানান, ‘সেনাবাহিনী মূলত হাওরসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে এবং খোঁজ নিচ্ছে পানির কারণে সেসব অঞ্চলে কোথাও মানুষ আটকে রয়েছে কিনা।’

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিরও উন্নতি হতে শুরু করেছে। রাস্তায় পানি উঠে যাওয়ায় রোববার সিলেটের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও তা কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

সিলেট শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে গেছে, তবে শহরের অনেকাংশেই এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান।

তিনি বলেন, পুরো জেলায় ৪৯৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে পানি নামতে থাকায় এরই মধ্যে তাদের অর্ধেকের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।

তবে এখনো কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানির ঢলে রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় গত কয়েকদিন সুনামগঞ্জ জেলার সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ ছিল। সিলেটের সাথেও সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় রোববার।

সূত্র : বিবিসি