পাবিপ্রবির উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

পাবিপ্রবির উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

পাবিপ্রবির উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এর সাথে সাংবাদিকদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) উপাচার্য কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় উপস্থিতির সকলের পরিচিতি পর্বের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা, সাংবাদিকদের নিউজ তথ্য সরবরাহ, অতীত-ভবিষ্যৎ, নিয়োগ বাণিজ্য, অবকাঠামো, বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়।

খোলামেলা আলোচনায় অংশ নেন পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, চ্যানেল আই ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি আকতারুজ্জামান আকতার, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক জোড়বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল মতিন খান, দ্য ডেইলি নিউ এজ ও অনলাইন নিউজজোনের জেলা প্রতিনিধি এম মাহফুজ আলম, ডেইলি স্টার প্রতিনিধি আহমেদ হুমায়ন কবীর তপু, ইত্তেফাকের রুমী খন্দকার, মানবজমিনের রাজিউর রহমান রুমী, জনকন্ঠের কৃষ্ণ ভৌমিক, সংবাদপত্র পরিষদের সম্পাদক ও দৈনিক বিশ্ববার্তা পত্রিকার সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদ,দেশ রুপান্তরের রিজভী জয়, সাংবাদিক মির্জা আজাদ,মোস্তাফিজ রাসেল প্রমুখ। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার কাজ পুরোদমে চলছে। আমাদের শিক্ষার্থীসহ সবাই বিশ্বমানের নাগরিক হওয়ার লক্ষ্যে সামনের দিকে এগুচ্ছে। অমঙ্গলকর সবকিছু বদলে একটি নতুন মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কাজে নিয়োজিত।

উপাচার্য আরো বলেন, আমাদের স্বপ্ন বড়, আমরা ভালো কাজ করতে চাই। ভালো কাজের আনন্দ খুবই তৃপ্তির। রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ পাবনার পরিবেশ ও প্রতিবেশের সাথে মিল রেখে নতুন বিভাগ খোলা হবে। আমরা দুইমাস আগে যোগদান করেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণ চা ল্য সৃষ্টি করতে পেরেছি। তাদের মনোবল, শক্তি ফিরিয়ে এনেছি। তাদের মধ্যে স্বপ্নের বীজ বুনতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, নীতিগত দুর্নীতি বড় দুর্নীতি। আমরা দুর্নীতি করবো না, করতেও দেব না। সাংবাদিকরা আমাদের কাজকর্মের পর্যবেক্ষক হিসেবে বড় দায়িত্ব পালন করবেন। তারা আমাদের সারাক্ষণ জাগিয়ে রাখবেন যাতে আমাদের গতি কমে না যায়। আমাদের বন্ধু হিসেবে সত্যকে তুলে ধরবেন। সত্যকে সত্য কালোকে কালো বলবেন। উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন এ সময় বলেন, পাবনার সাংবাদিকতার ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের । মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এখানকার সাংবাদিকরা যে গৌরবময় ভূমিকা পালন করেছেন তারই ধারাবাহিকতায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজে আমাদের পাশে থাকবেন। সহযোগিতা করার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল খান বলেন, সাংবাদিকরা সমাজ বিনির্মাণের কারিগর। এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নানা পথ নানা মত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু আমরা সবাইকে  সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবো। আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব নয়। অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে আমরা দেশের সেবা করতে চাই। সকল তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের সাহায্য করতে চাই। যাতে আমাদের কাজের স্বচ্ছতা থাকে। জাতি জানতে পারে আমরা কী করছি।

পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান পাবনার সাংবাদিকতার ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা সকল ইতিবাচক কাজে সহযোগিতা করতে চাই। পাবনার প্রতিষ্ঠান সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করুক এটা আমাদের প্রত্যাশা। নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের যোগদানের মধ্য দিয়ে নতুন দিনের সূর্যের উদয় হয়েছে। উপাচার্যের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক এই বিশ্ববিদ্যালয় তথা পাবনা।

প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বিশিষ্ট পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. হাফিজা খাতুন উপাচার্য হিসেবে এবং ১৩ এপ্রিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস.এম মোস্তফা কামাল খান উপ-উপাচার্য হিসেবে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ লাভ করেন।

মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম, প্রক্টর কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।