মুজিব ম্যুরালে অবস্থান নিয়ে শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদ ইবি শিক্ষকদের

মুজিব ম্যুরালে অবস্থান নিয়ে শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদ ইবি শিক্ষকদের

মুজিব ম্যুরালে অবস্থান নিয়ে শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদ ইবি শিক্ষকদের

সাভারে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে কলেজ শিক্ষককে হত্যা ও নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় জন শিক্ষক এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ মুর‌্যালের পাদদেশে তাঁরা প্রতীকি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট।

জানা যায়, শিক্ষক লাঞ্ছনা ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় ম্যুরালের পাদদেশে অবস্থান শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন। পরে  তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে একই বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. বিকাশ চন্দ্র সিংহ, সহযোগী অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম প্রতিবাদে অংশ নেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচিতে শিক্ষকরা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, এ কাজগুলো যে বা যারাই করুক যদি আমরা এটি সংশোধন করতে না পারি এবং এর মূলকে যদি আমরা চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে। পরিকল্পিতভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে একপক্ষকে আরেক পক্ষের প্রতিদ্বন্দী বানানো হচ্ছে। এসব ঘটনা মোটেই কাম্য নয়। দোষীদের অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পবিত্র সম্পর্ক আজ নষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষক হত্যার ঘটনা ঘটছে, এটি সমাজের জন্য খুবই আশঙ্কার বিষয়। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্রও সঠিক অবস্থানে থেকে কাজ করছে না। সকলের জায়গা থেকে যদি আমরা এই অবস্থা পরিবর্তনে সচেষ্ট না হই তাহলে সামাজিক অবক্ষয় চলতেই থাববে। এই বার্তা দিতেই আমরা অবস্থান নিয়েছি।

এ দিকে, প্রতিবাদলিপিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক ইউনিটের নেতারা বলেন, এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার সাবলীল পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। কেউ যেমন আইনের উর্ধ্বে নয় তেমনি আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার পিছনের মূল পরিকল্পনাকারী ও উস্কানীদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।