কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড়

কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড়

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু পর্যটকের পদভারে মুখরিত কুয়াকাটার সৈকত। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য অবলোকনে পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। পর্যটকরা আস্তে আস্তে দক্ষিণমুখী হচ্ছে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের যাতে দ্রুত এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা যায়, এ নিয়ে প্রস্তুতি চলছে কুয়াকাটা পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীদের মাঝে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ইতিমধ্যে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল ও খাবার হোটেলগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করা হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়াকে দখিনের জনপদের জন্য আশীর্বাদ এবং অর্থনীতির দিক পরিবর্তনকারী হিসেবে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

কুয়াকাটা হোটেল মেটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, কুয়াকাটায় ছোট-বড় ১৬০টির মতো আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। প্রায় সকল হোটেল মালিকের ব্যাংক ঋণ রয়েছে। প্রত্যেক মাসেই ঋণের কিস্তির টাকা গুণতে হয়। ২০২০-২০২১ সালে কুয়াকাটায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মক সঙ্কটে ছিল। করোনাকালীন এ সময়টায় পুরো ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সে সময় অনেকেই ধার-দেনা করে অথবা অন্যভাবে অর্থ জোগাড় করে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেছেন। আবার অনেকে তাও পারেনি। যারা পারেনি তাদের ঋণের সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে। প্রত্যেকটি হোটেলের মালিকই বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। টাকার অঙ্কে হিসাব করলে করোনাকালীন ওই দুই বছরে কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায়ীদের কমপক্ষে দুই শ' কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া শুটকি ব্যবসা, মাছের ব্যবসা, শামুক-ঝিনুকের দোকান, খাবার হোটেল, বিনোদন, ফটোগ্রাফার, মোটরসাইকেল ও ভ্যানচালক, অটো চালক, সৈকতের ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী, চা-পানের দোকানদার, চটপটি বিক্রেতা, ট্যুর অপারেটরসহ পর্যটন কেন্দ্রিক সকল ব্যবসা মিলিয়ে করোনাকালীন এ সময়ে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কুয়াকাটার এক আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী মো: সুমন বলেন, পদ্মা সেতু আমাগো দক্ষিনের মানুষের জন্য আশীর্বাদ। গত দুই বছর করোনা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা কারণে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করেছি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় মানুষজনের আনাগোনা বাড়ছে, তাতে আবাসিক হোটেলসহ অন্যান্য দোকানে বেচাকেনাও বাড়ছে।