ড্রোন রপ্তানি করে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও প্রভাব বাড়াচ্ছে ইরান

ড্রোন রপ্তানি করে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও প্রভাব বাড়াচ্ছে ইরান

ছবি: সংগৃহীত

পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন রপ্তানির মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও প্রভাব বাড়াচ্ছে ইরান। 

বৃস্পতিবার বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে এমন মন্তব্য করেছে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস।

ইরানের ড্রোন নির্মাণ শিল্প বিগত বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মাথাব্যথার অন্যতম প্রধান কারণে পরিণত হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা গত কয়েক মাসে একাধিকবার একথা বলেছেন, ইরানের ড্রোন শক্তির কারণে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে বিমান শক্তির দিক দিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছে ওয়াশিংটন।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান মধ্যপ্রাচ্যের বাইরের দেশগুলোর কাছে ড্রোন প্রযুক্তি রপ্তানি বাড়িয়ে দিয়েছে। ইরান এই শিল্পে একটি আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ে পরিণত হওয়ার চেষ্টা করছে। ড্রোনের নকশা তৈরি ও নতুন নতুন ড্রোন তৈরিতে ইরান বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিক উন্নতি করেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, ইরান তার সামরিক ড্রোনগুলোকে ভেনিজুয়েলা এবং সুদানের মতো মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে দেশগুলোর হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ড্রোন এখন ইরানের জন্য রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান যখন বৈদেশি মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে চরম বিপত্তিতে পড়েছে তখন ড্রোন বিক্রি করে দেশটি তার এ সংকট অনেকাংশে কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে হচ্ছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একথা বলে এসেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরানের কাছ থেকে শত শত ড্রোন কেনার পরিকল্পনা করেছে। 

যদিও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মস্কোর সঙ্গে তেহরানের নতুন কোনো চুক্তি হয়নি বরং দুদেশের সামরিক সহযোগিতা আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল।