কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামীকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামীকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামীকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে ২ বছর পর হত্যা মামলার ৪ নং আসামি সেলিম নামের ব্যক্তিকে পায়ের রগ কেটে  নির্মমভাবে হত্যা করেছে নিহতের ছেলে ও চাচা। সোমবার সকালে সদকী ইউনিয়নের সদকী চরপারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৪ জন নারীকে আটক করেছে কুমারখালী থানা পুলিশ। নিহত সেলিম হোসেন (৪৫) সদকী ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের মৃত সেকেন আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ডাইং কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান,  জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০২০ সালের ৬ মে সদকী চরপারা গ্রামের হুমায়ন নামের একজন ব্যক্তি খুন হয়। এই হত্যা মামলায় সেলিম হোসেন ৪ নং আসামি ছিলেন। সোমবার সকালে সেলিম নিহত হুমায়ুনের বাড়ির সামনে দিয়ে যাবার সময়  হুমায়ুনের ছেলে রাজু এবং তার দুই ভাই আসলাম ও সাইদুল তাকে ধরে বাড়ির মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধারালো দিয়ে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কুষ্টিয়া যাবার পথে সেলিম মারা যান। মারা যাবার আগে যারা কুপিয়ে মারাত্মকভাবে তাকে আহত করেছে তিনি তাদের নাম উল্লেখ করেন।  সেই ভিডিওটি ফেসবুকে অনেকে আপলোড করেছেন।

এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউল আরেফিন জানান, রোগীর দুই পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায়  ৮/১০ জায়গায় গভীর ক্ষত ছিলো। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া প্রেরণ করা হয়।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, হত্যা মামলার ৪ নং আসামীকে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ির মধ্যে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া নেবার পথে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪ জন নারীকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।