শিরোপা জয়ের পরই উদযাপন করতে চায় বাংলাদেশ

শিরোপা জয়ের পরই উদযাপন করতে চায় বাংলাদেশ

সংগৃহীত

কোন রকম অঘটন ছাড়াই সাফ ওমেন চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আজ দশরথ রঙ্গশালায় আসরে প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনাল খেলতে নামা  ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করেন গোল রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। তবে এমন জয়ের পরও দলের মধ্যে বাড়তি কোন উচ্ছাস দেখা যায়নি।

ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় এর কারণ ব্যাখ্যা করলেন ছোটন। তিনি বলেন,‘ আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনাল নিশ্চিত করা। মেয়েরা সেই আশা পুরন করেছে। এখন শিরোপা জেতার লক্ষ্য। সেটা হলেই সেলিব্রেশন (উদযাপন) করব।’

বাংলাদেশ কোচ  বলেন,‘ পুরো ম্যাচ জুড়েই মেয়েরা ভাল খেলেছে। পরিকল্পনা  অনুযায়ী খেলেছে। তিন ম্যাচেই ভাল ব্যবধানে জিতেছি আমরা। পুরো শক্তি দিয়েই খেলেছি। আজ সাবইকে পরখ করে দেখা হয়েছে। যে যখন নামবে সেরাটাই দিবে। মেয়েরাও তাই দিয়েছে। কৃতিত্ব দেবো খেলোয়াড়দের। প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টেই দুর্দান্ত খেলেছে। সব বিভাগেই সমানতালে যুদ্ধ করেছে।

লক্ষ্য ছির প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে গোল করে ম্যাচকে সহজ করে নেয়া। তবে কত গোল করব তা নির্ধারণ করিনি। কারণ জানতাম  পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে গোল আসবে। আমাদের কাছে জেতাটাই জরুরী ছিল। ঢাকা থেকে আসার সময় আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফাইনালে যাবো।’

তিনি বলেন,‘ আমরা ভাল কিছু করার স্বপ্ন দেখতাম এবং ২০১৬ সালে আমাদের সভাপতি (বাফুফে) বলেছিলেন  ভালো কিছু করতে গেলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। সেই স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যেই ২০১৬ অক্টোবরে এই ক্যাম্প শুরু হয়।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ এর ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত গিয়েছি। সেখানে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান আমাদের গ্রুপে ছিল। আমরা সেখানে খেলেছি। প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মধ্যেই ছিল মেয়েরা। ফেডারেশন সহযোগিতা করেছে, সাথে সাথে টেকনিক্যালি কোচিং স্টাফরাও কঠোর পরিশ্রম করেছে। সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মেয়েদের। সারা বছর তারা অনুশীলন করেছে।’

সূত্র: বাসস