প্রশ্নপত্র ফাঁস : দুই সহকারী শিক্ষক ২ দিনের রিমান্ডে

প্রশ্নপত্র ফাঁস : দুই সহকারী শিক্ষক ২ দিনের রিমান্ডে

প্রশ্নপত্র ফাঁস : দুই সহকারী শিক্ষক ২ দিনের রিমান্ডে

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের পর অপর দুই সহকারী শিক্ষক জোবায়ের হোসেন ও আমিনুর রহমান রাসেলের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার সকালে কুড়িগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রশ্নফাঁস মামলায় দুই সহকারী শিক্ষকের রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন। পুলিশ তাদের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল।

গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ চারজন সহকারী শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

সেই মামলায় পুলিশ গত ২২ সেপ্টেম্বর নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত ২৯ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল। লুৎফর রহমান তিন দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখছে।

প্রশ্নফাঁস মামলায় পুলিশ নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক জোবায়ের হোসেন, ‍কৃষি বিজ্ঞান শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলা শিক্ষক সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করে।

অপরদিকে এজাহারভুক্ত আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছে। এদের সবাইকে
সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজাহার আলী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলার দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ২ অক্টোবর রোববার শুনানির দিন ধার্য্য করেছিলেন। রোববার শুনানি শেষে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। প্রধান আসামি লুৎফর রহমান তিন দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দিলরুবা আহমেদ শিখা বলেন, আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতিসাধন করেছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সাথে জড়িতদের সর্ব্বোচ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।