দুই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ৪৫৫ কোটি ডলার

দুই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ৪৫৫ কোটি ডলার

ফাইল ছবি

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। আমদানি ব্যয়ের চেয়ে রপ্তানি আয় কম হওয়ায় অর্থবছরের শুরুতেই বড় অঙ্কের এই বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

একই সময়ে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতিও ১৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ১ হাজার ২৬৯ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। তার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৮১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য। এতে ৪৫৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে দেশে রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেশি হচ্ছে। আবার আশানুরূপ প্রবাসী আয়ও আসছে না। এতে করে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ।

গত জুলাই ও আগস্ট মাসে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। আগস্ট মাস শেষে সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ১৫১ কোটি ডলার। অন্যদিকে সেবা খাতে ব্যয় হয়েছে ২১৯ কোটি ডলার। এ খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৬ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের দুই মাস শেষে চলতি হিসাবের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে এ ঘাটতি ছিল ১৪১ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ২ মাসে ঘাটতি বেড়েছে ৯ কোটি ডলার।

সামগ্রিক লেনদেনেও (ওভার অল ব্যালান্স) ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। আগস্ট শেষে সামগ্রিক লেনদেনের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এই সূচকে গত অর্থবছরের একই সময়ে ২২ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল।

তবে এই সময়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৭৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৬০ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে প্রথম ২ মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ১৮ কোটি ডলার বা ৩০ শতাংশ।