ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমান নকল বিড়ি জব্দ

ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমান নকল বিড়ি জব্দ

সংগৃহীত

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত নকল বিড়ি জব্দ করেছে যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার বাথান গাছি গ্রামের সফিকুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তার বাড়ি থেকে ১৪ বস্তা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত সাহেব বিড়ি এবং ২ বস্তা সাহেব জর্দ্দা জব্দ করা হয়। সফিকুল ইসলাম সাহেব বিড়ি স্থানীয় ডিলার। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তা।

পরে মহেশপুর থানার বেলেমাঠ বাজারের কয়েকটি দোকানে অভিযান চালান যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। এসময় বাজারের জিলানী স্টোর থেকে ১ বস্তা ( ৩০ হাজার শলাকা) নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত সাহেব বিড়ি, লিখন স্টোর থেকে ৬,৫০০ শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত সাহেব বিড়ি এবং মোমিন স্টোর থেকে ৭,৫০০ শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত সাহেব বিড়ি ও ৩০০০ শলাকা নকল ব্যান্ডরোল মহন বিড়ি যুক্ত জব্দ করা হয়। জিলানী স্টোরের মালিক মোঃ জিলানী, লিখন স্টোরের মালিক মোঃ লিখন এবং মোমিন স্টোরের মালিক আব্দুল মোমিনকে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি মজুদ ও বিক্রির অপরাধে জরিমনা করা হয়। একইসাথে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিড়ি বিক্রি না করতে সর্তক করা হয়।

৩য় দফায় জেলার মহেশপুর থানাধীন গোপালপুর গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের আবুল কালামের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ৪ বস্তা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত সাহেব বিড়ি এবং ১ বস্তা সাহেব জর্দ্দা জব্দ করা হয়। আবুল কালাম সাহেব বিড়ির স্থানীয় ডিলার।তার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তরা।

পরে ঝিনাইদহ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব ইব্রাহিম হোসেনের নেতৃত্বে মহেশপুর বাজারের পুড়াপাড়া স্টোরে অভিযান চালিয়ে ৯, ০০০ শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত সাহেব বিড়ি এবং ৮,৫০০ শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত আলম বিড়ি জব্দ করা হয়। পুড়াপাড়া স্টোরের মালিক হাফিজুর রহমানকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ বিড়ি বিক্রি না করার জন্য সর্তক করা হয়।

সহকারী কমিশনার কামাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাল ব্যান্ডরোল যুক্ত সাহেব বিড়ি বাজারজাত করে আসছে একটি অসাধু চক্র। সাহেব বিড়ি বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও নকল ব্যান্ডরোল জব্দ দেখিয়ে দুই ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসাথে নকল বিড়ি বিক্রির অপরাধে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া নকলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে।