পাবনা পৌরসভা উৎযাপন করল পাবনা জেলার ১৯৪তম জন্মদিন

পাবনা পৌরসভা উৎযাপন করল পাবনা জেলার ১৯৪তম জন্মদিন

পাবনা পৌরসভা উৎযাপন করল পাবনা জেলার ১৯৪তম জন্মদিন

পাবনা পৌরসভা অতি প্রাচীণতম দেশের অন্যতম ইতিহাস এবং ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জেলা পাবনার ১৯৪তম ‘জন্মদিন’ আন্দঘন পরিবেশে ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে উৎযাপন করেছে। ১৮২৮ সালের ১৬ অক্টোবর স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে পাবনা স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমান বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভরপূর হওয়ায় পাবনাকে বলা হয় শিক্ষানগরী পাবনা।

দিনটি পালন উপলক্ষে রোববার  পৌরসভার আয়োজনে পৌরসভা কার্যালয়ে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা পৌর মেয়র মোঃ শরীফ উদ্দিন প্রধানের সভাপতিত্বে এসব কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন পৌরসভার বিভিন্ন দফতরের প্রকৌশলীগণ কাউন্সিলরবৃন্দ, বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

পাবনা জেলার ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭৯০ সালে বর্তমান পাবনা জেলার বেশিরভাগ অংশ রাজশাহী জেলায় অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৮২৮ সালে পাবনায় তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট মি. এ ডাব্লিউ মিল্সকে জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এর চার বছর পর ১৮৩২ সালে জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেটের পরিবর্তে ডেপুটি কালেক্টর নিয়োগ করা হয়। রাজশাহী জেলার ৫টি থানা ও যশোর জেলার ৩টি থানা নিয়ে সর্বপ্রথম পাবনা জেলা গঠিত হয়। ১৮৫৫ সালে ময়মনসিংহ জেলা থেকে সিরাজগঞ্জ থানাকে পৃথক করে পাবনা জেলার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। হোসিয়ারী শিল্প, তাঁত শিল্প, কাঁচি শিল্প, বেনারসি-কাতানসহ শিল্পসমৃদ্ধ এই জেলা একসময়ে ছিল দেশের অন্যতম বাণিজ্য  কেন্দ্র। নীল বিদ্রোহ, কৃষক বিদ্রোহ, মহান ভাষা আন্দোলন, কুখ্যাত ভুট্টা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ নানা আন্দোলন সংগ্রামে পাবনা জেলার ইতিহাস অনেক বিস্তীর্ণ।

৩৫১ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট পাবনা জেলা বর্তমানে ৯টি উপজেলা ও ৭৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে দেওশর একমাত্র মানসিক গাসপাতাল, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ইপিজেট, লালন শাহ সেতু, ও রেলস্টেশন। এই শিক্ষানগরীতে পাবনার ঐতিহ্যবাহী এডওয়ার্ড কলেজ ছাড়াও এখানে রয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জনিয়ারিং কলেজ, মেরিন একাডেমী, পারমাণবিক চিকিৎসার পরীক্ষাগার, পাবনা মেডিকেল কলেজ, টিচার ট্রেনিং কলেজ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাবনা আলীয়া মাদ্রাসাসহ রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই পাবনাকে এখন বলা হয় শিক্ষানগরী পাবনা।