মানারাতের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল জারি

মানারাতের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল জারি

মানারাতের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল জারি

রাজধানীর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।

গত ৮ সেপ্টেম্বর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়। এর চেয়ারম্যান করা হয় ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলামকে। ট্রাস্টি বোর্ডে সদস্য হিসেবে যাদেরকে রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন সাবেক অর্থ ও বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশিউর রহমান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (আইইবি) সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা আক্তার পপি এবং সোশ্যাল ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিহির কান্তি ঘোষাল।

মানারাতের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ৬ (১০) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করায় এই আইনের ৩৫ (৭) ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছেন।এই ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য এ কে এম ফজলুল হক।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে আজ শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।জামিউল হক ফয়সাল সাংবাদিকদের জানান, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিবসহ ৮ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বোর্ডের আগের সব সদস্যকে বাদ দেয়া হয়েছে। কেবল পদাধিকার বলে উপাচার্যকে রাখা হয়েছে। এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়নে এমপি হন। ২০০৬ সালে বিএনপি থেকে বের হয়ে অলি আহমেদের নেতৃত্বে এলডিপি গঠন হলে সে দলে চলে যান আবদুল্লাহ। আগের বোর্ডের অনেক সদস্য জামায়াত সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে।

সূত্র  : বাসস